চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নির্মাণ হবে স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন। এতে কারিগরি সহায়তা দেবে চীনের জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেকেন্ড ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফি। সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশনটি নির্মাণ হলে বাংলাদেশের সমুদ্র গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত চুক্তি সই করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার ও সেকেন্ড ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফির প্রধান অধ্যাপক ড. ফ্যাং ইংজিয়া। এ সময় ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন এবং সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ প্রকল্পের সমন্বয়ক ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন মুন্না।
সূত্রে আরও জানা যায়, স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশনটি নির্মাণে প্রাথমিকভাবে মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউট অনুষদের পাশে একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জমি, লোকবল, গবেষক দেবে। পাশাপাশি স্টেশনটি ব্যবস্থাপনা করবে। চীনা প্রতিষ্ঠানটি থেকে পাওয়া যাবে কারিগরি ও যন্ত্রপাতি সহায়তা।
সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ প্রকল্পের সমন্বয়ক ড. মোসলেম উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ২০১৯ সালে চীনা প্রতিষ্ঠানকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এর পরের বছর তাদের সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতাবিষয়ক চুক্তি হয়। আরও কয়েক ধাপ পেরিয়ে প্রতিষ্ঠানটির একটি প্রতিনিধিদল চলতি বছরের জুলাইয়ে ক্যাম্পাসে আসে। তারা সরেজমিন জায়গা দেখে গিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশনটি নির্মাণ হলে বাংলাদেশের সমুদ্র গবেষণায় একটি নতুন মাত্রা যোগ হবে। এর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগর দিয়ে অতিক্রম করা আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইটগুলো থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে, বিশেষ করে মাছের বিচরণ, পানির উচ্চতা, গতি-প্রকৃতিসহ নানা বিষয় সহজেই জানা সম্ভব হবে।