আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশি পর্যবেক্ষক সহায়ক নীতিমালা করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী মাসের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করতে চায় সংস্থাটি। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ বার্তা জানায় কমিশন। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও তথ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সূত্র জানায়, বৈঠকে ভোট পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশিদের আবেদন সীমা, প্রয়োজনীয় কারিগরি সুযোগ-সুবিধা ও প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদলের সুপারিশ পর্যালোচনা করে নীতিমালা হালনাগাদের বিষয় আলোচনা করা হয়। আলোচনা হয় পর্যবেক্ষকদের ভিসার মেয়াদ নিয়েও। ইইউ প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল কমিশনের সঙ্গে এসব ভিসার মেয়াদ আরও বাড়ানোর ব্যাপারে বলা হয়। তবে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভিসার মেয়াদ দুই মাসই থাকবে। পর্যবেক্ষকরা এলে পরে বাংলাদেশে থেকেই তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।
বৈঠক শেষে অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, নীতিমালা যাতে পর্যবেক্ষকদের জন্য সহায়ক হয়, ব্যবহারবান্ধব হয়, সেই ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে আরও কয়েকটা মিটিং হবে। তারপর খসড়া দেব। কমিশন অনুমোদন দিলে চূড়ান্ত করব।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে খসড়া চূড়ান্ত করার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটা চূড়ান্ত হওয়ার পরে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি যাবে। তারা আবেদন করবে। আবেদন অনুযায়ী যে পদ্ধতি থাকবে সে অনুযায়ী অনুমোদন পেয়ে তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে আসতে পারবেন।
বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা ‘যুগোপযোগী’ করার পাশাপাশি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের যন্ত্রপাতি আনা ও কর অব্যাহতির বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানান, আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি পর্যবেক্ষককে অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন