ই-অরেঞ্জের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা, পরিচয় দাখিল করতে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তারা কোন কর্তৃত্ববলে অ্যাকাউন্টগুলো থেকে টাকা উত্তোলন করেছে, তাও জানাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ই-অরেঞ্জের সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে আর্থিক সংস্থা আইপিডিসিতে সোনিয়া মেহজাবীনে আড়াই লাখ টাকার এফডিআর এবং প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ১০টি গাড়ির বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত আগামী ২৩ জুলাই পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম. আব্দুল কাইয়ুম। বিএফআইইউর পক্ষে ছিলেন শামীম খালেদ আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম জানান, পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া মেহজাবীনের এফডিআর ও গাড়ি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে বলেছেন, এসব গাড়ি হস্তান্তর না করতে। পাশাপাশি এসব গাড়ির অবস্থান নিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। এ ছাড়া সোনিয়া যাতে আইপিডিসি থেকে টাকা উত্তোলন করতে না পারেন, সেই আদেশ দিয়েছেন। সোনিয়ার ভাই বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানার অবস্থানের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছেন—সে পলাতক। তার বিষয়ে রেড নোটিশ জারি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ই-অরেঞ্জ থেকে ৭৭ কোটি টাকার পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে মো. আফজাল হোসেন, মো. আরাফাত আলী, মো. তরিকুল আলম, সাকিবুল ইসলাম, রানা খান ও মো. হাবিবুল্লাহ জাহিদ নামের ছয়জন গ্রাহক গত মার্চে হাইকোর্টে রিট করেন।
মন্তব্য করুন