আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানিসহ যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও উৎসাহের মধ্য দিয়ে সারা দেশে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে গত বৃহস্পতিবার ঈদের জামাত শেষে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করেন।
হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। এতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, দুই সিটির মেয়রসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নামাজ আদায় করেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ এহসানুল হক। এ ছাড়া সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা ও পৌনে ১১টায় বাকি চার জামাত হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ জানান, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ময়দানের ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়। চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হয় জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের ঈদগাহ ময়দানে।
সিলেটের শাহি ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ সাধারণ মানুষ।
রাজশাহীতে হজরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগা মসজিদে নামাজ আদায় করেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ মুসল্লিরা।
রংপুরে বৃষ্টির কারণে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত মডেল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ময়মনসিংহে কেন্দ্রীয় আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে প্রধান জামাত হয়। বরিশালের বান্দরোডের হেমায়েতউদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহসহ মুসল্লিরা।
খুলনায় প্রধান জামাত হয়েছে নগরীর টাউন জামে মসজিদে।
মন্তব্য করুন