ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেনের (হিরো আলম) ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের টুইট করা বক্তব্য সমর্থন করে সংস্থাটি। একই সঙ্গে ওই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে আবাসিক সমন্বয়কারীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে অসন্তোষ প্রকাশের বিষয়টিও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে মনে করে জাতিসংঘ। গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উঠে আসে গোয়েন লুইসের টুইট ও তলবের বিষয়টি। এ ব্যাপারে জাতিসংঘ মহাসচিব অবগত কি না জানতে চাওয়া হয়। জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘ দলের প্রতি মহাসচিবের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এ ছাড়া সদস্যদেশের সরকার পক্ষ থেকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীকে তলব করাটা অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। সমন্বয়কারীর বলা কোনো কথার সঙ্গে সে দেশের দ্বিমত থাকলে তলব করতেই পারে। এটাই যথাযথ প্রক্রিয়া। যখন কোনো বিষয় নিয়ে অসন্তোষ থাকে, তখন সদস্যদেশগুলো এ প্রক্রিয়া মেনে চলে।’ বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ রয়েছে কি না জানতে চাইলে ডুজারিক বলেন, ‘মানুষের কথা বলার এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। জনগণের সে অধিকার নিশ্চিত করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। সবখানেই এমনটা চলে। আমাদের এ প্রশ্ন বহুবার করা হয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে আমি আর এমন কোনো পূর্বাভাস দিতে চাচ্ছি না।’ গত মঙ্গলবার হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেন গোয়েন লুইস। ওই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার গোয়েন লুইসকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। লুইস ঢাকায় না থাকায় ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সমন্বয়কারী শেলডন ইয়েট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেলে অসন্তোষ প্রকাশ করে সরকার।
মন্তব্য করুন