বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০২:৩২ এএম
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

পানি নিয়ে ফের মোদিকে এক হাত নিলেন মমতা

পানি নিয়ে ফের মোদিকে এক হাত নিলেন মমতা

তিস্তা ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনার আবারও তীব্র সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল সোমবার কলকাতায় সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নেন তিনি। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তিস্তার পানি বাংলাদেশকে দিয়ে দেওয়া হলে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের মানুষ পানি পাবেন না। গঙ্গার ভাঙনে যে বাড়ি তলিয়ে গেছে, সেগুলো করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ৭০০ কোটি টাকার তহবিল আজ পর্যন্ত দেয়নি। ফারাক্কা চুক্তি নবায়ন করা হলে বিহারও ভাসবে। এখানে মূল পক্ষ আমরা। অথচ আমাদের জানানো হলো না। বলছে তিস্তার পানি দেবে (বাংলাদেশকে)। পানি রয়েছে যে দেবে? আমাদের না জানিয়ে ফারাক্কা চুক্তি রিনিউ করা হচ্ছে। বাংলাদেশকে পানি দিলে এ রাজ্যের উত্তরবঙ্গে কেউ খাবার পানি পাবেন না।’ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গঙ্গার ভাঙন কেন্দ্রের দেখার কথা। ১০-১২ বছর ধরে দেখছে না। ফারাক্কার ড্রেজিং করেনি। বাংলাদেশের সঙ্গে যখন চুক্তি হয়, তখন কথা ছিল, বাংলাদেশে যে জল যাচ্ছে, আমাদের যাতে সমস্যা না হয়, ড্রেজিং করা হবে। ভাঙনে অনেক বাড়ি তলিয়ে গেছে। ৭০০ কোটি টাকার প্যাকেজ তৈরি হয়। আমি এমপি ছিলাম, জানতাম। আজ পর্যন্ত দেয়নি।’

উল্লেখ্য, গত মাসের শেষের দিকে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নসহ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ওই সময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশের দিকে তিস্তার পানি সংরক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।

নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘ এক চিঠি লেখেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই চিঠিতে তিনি বলেন, তার রাজ্যের অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা হওয়া উচিত নয়। এমনকি চিঠিতে মমতা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের মানুষের সেচ ও পানীয়র জন্য পানির প্রয়োজন। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে তিস্তায় পানির প্রবাহ কমে গেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, যদি বাংলাদেশের সঙ্গে পানি ভাগাভাগি করা হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ সেচের পানির অপ্রতুলতার কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

এর আগে ২০১১ সালে ভারত তিস্তা নদীর ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ পানি বাংলাদেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে সম্মত হয় এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ পানি ধরে রাখতে সম্মত হয় দেশটি। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে চুক্তিটি স্বাক্ষর করা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শুরু থেকেই চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৮ কুকুরছানা হত্যায় মামলা প্রস্তুতি, বাসভবন ছাড়লেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা

নারায়ণগঞ্জ-৫ / মাসুদুজ্জামানের ক্যানভাসে জনতার প্রত্যাশা

শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত, বার্ষিক পরীক্ষা চলবে বুধবার

নরসিংদীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

টিউলিপের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না পাওয়ার দাবি ‘সম্পূর্ণ অসত্য’: দুদক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ১০৬ মামলায় চার্জশিট দিল পুলিশ

খালেদা জিয়াকে দেখে এসে যা বললেন জামায়াত আমির

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ছিনতাই

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডিভাইডারের গ্রিল ভেঙে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

৮ কুকুরছানাকে হত্যা, ইউএনও কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে মা কুকুর

১০

অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৬ ভারতীয় নাগরিকের জামিন

১১

খালেদা জিয়া ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলা শিখিয়েছেন : রাশেদ

১২

২১৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন সভাপতি

১৩

নতুন বেতন কমিশন বাস্তবায়ন নিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা

১৪

‘যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তারা দেশপ্রেমিক হতে পারে না’

১৫

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ঢাকা উত্তর ছাত্রদলের দোয়ার আয়োজন

১৬

জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী হোসাইন, মহাসচিব মোস্তাফিজুর

১৭

সাতক্ষীরায় শিক্ষকদের কর্মবিরতি, সংঘর্ষের ছবি নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মারমুখী আচরণ

১৮

শিক্ষকদের কৌশলে ভর্তি অনিশ্চিত শিক্ষার্থীদের

১৯

ইরাকে চাকরির বিষয়ে দূতাবাসের সতর্কতা

২০
X