টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্বামীকে গজারি বনে গাছের সঙ্গে বেঁধে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নয়াকচুয়া গ্রামে অবস্থিত চাঁদেরহাট নামের এক বিনোদন কেন্দ্রের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী রাত ১টার দিকে সখীপুর থানায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বুলবুল আহমেদ, মোহাম্মদ বাবুল, লাবু মিয়া, আসিফ, শফিক আহমেদ ও মোজাম্মেল হক। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার কচুয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়ায়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই দম্পতি কচুয়ার চাঁদেরহাট বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে যান। ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যার দিকে তারা কেন্দ্রের মূল ফটকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় আসামিরা তাদের প্রেমিক-প্রেমিকা ভেবে পাশের গজারি বনে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে আসামিরা তাদের প্রথমে মারধর করে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীকে গাছে বেঁধে রেখে ওই নারীকে সাতজন ধর্ষণ করে। ওই নারী অচেতন হয়ে পড়লে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই দম্পতি বিকেল ৫টায় চাঁদেরহাটে আসেন। সেখানে তারা ঘোরাঘুরি করে নিজেরা ছবি তোলেন। এরই মধ্যে বখাটেরা তাদের অনুসরণ করতে থাকে। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তারা যখন চাঁদেরহাট থেকে বেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন, তখন তাদের চ্যালেঞ্জ করা হয় তারা স্বামী-স্ত্রী কি না। তখন স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীকে পাশের গজারির বনে নিয়ে যায়।
সেখানে ওই নারীকে তারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে স্বামীর চিৎকারে আশপাশের মানুষ এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। স্থানীয় মনির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওই বখাটেরা নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এলাকাবাসী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়।
সখীপুর থানার এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই ওসির নির্দেশে রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি রেজাউল করিম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ওই দম্পতি থানায় এসে ধর্ষণের বিষয়টি জানান। রাতেই ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নির্যাতনের শিকার নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন