নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৩ এএম
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

৬০ লাখে জমি কিনে ৫০ লাখ আত্মসাৎ

স্বরূপকাঠি পৌরসভা
৬০ লাখে জমি কিনে ৫০ লাখ আত্মসাৎ

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি জমি ক্রয়ে ৫০ লাখ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক মেয়র গোলাম কবিরের বিরুদ্ধে। জলাবাড়ী ইউনিয়নের সন্ধ্যা নদীর পাড় সংলগ্ন নদীভাঙন কবলিত এলাকায় ২ একর ৫৩ শতাংশের একটি জমি সরকারি বাজার মূল্যে পৌরসভার উন্নয়ন তহবিল থেকে ক্রয় করা হয়েছে ৫৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকায়। পৌরসভার জন্য সরকারি মূল্যে ওই জমি কিনলেও জমির দাতা রোজিনা বেগমকে দলিলে লেখা প্রকৃত মূল্য না বলে তাকে দিয়েছেন মাত্র ১০ লাখ টাকা।

অভিযোগ রয়েছে জমি কেনার সময় স্বরূপকাঠি পৌরসভার মেয়র গেলাম কবির তার মনোনীত একটি ব্যাংকে ওই নারীর নামে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার মাধ্যমে ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০২৪ সালের ১৩ মে নেছারাবাদ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে সাব-কবলা মূলে দলিলটি সম্পাদন করা হয়েছে। দলিলে গ্রহীতা স্বরূপকাঠি পৌরসভার পক্ষে সাবেক মেয়র গোলাম কবিরের নাম লেখা হয়েছে। তার নির্দেশে পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান খান দলিলে লেখা জমির মূল্য ৫৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ওই নারীর অ্যাকাউন্টে জমা করেন। পরে ওই নারীর অ্যাকাউন্টের চেক বইতে স্বাক্ষর নিয়ে পুরো টাকা তুলে নেন নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান।

জমির দাতা রোজিনা বেগম বলেন, জলাবাড়ীর নদীর পাশের ওই জমির পরিমাণ ৩ একর ১৪ শতাংশ। স্বরূপকাঠি পৌরসভার নামে মোট ১৪ লাখ টাকায় জমিটি বিক্রি করার কথা হয়। ওই জমির ২ একর ৫৩ শতাংশ আমার নিজ নামে রেকর্ডভুক্ত। বাকি ৬০ শতাংশ জমি অন্য দুজন শরিকের। ওই ৬০ শতাংশ জমি বাদে বাকি আমার নামে রেকর্ডভুক্ত ২ একর ৫৩ শতাংশ জমির দলিল দিয়েছি স্বরূপকাঠি পৌরসভার নামে। আমাকে আমার অংশের জমির বাবদ মোট ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন মেয়র গোলাম কবির। টাকার লেনদেন হয়েছে পৌরসভায় মেয়রের অফিস কক্ষে বসে।

জমির মধ্যস্থতাকারী মজিবুর রহমান বলেন, জমি কেনাবেচার সময় আমি ছিলাম। টাকা-পয়সা লেনদেনের ব্যাপারে সাবেক মেয়র গোলাম কবির এবং পৌরসভার সচিব সাইফুর রহমান খান করেছেন। লেনদেনের সময় আমাকে সামনে রাখেননি।

পৌরসভার সচিব সাইফুর রহমান খান বলেন, জমি ক্রয়ের সব টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে। এর সব কিছু তৎকালীন মেয়র গোলাম কবির এবং জমির মধ্যস্থতাকারী মজিবুর রহমান করেছেন। জমি কেনার অর্থনৈতিক লেনদেনের বিষয় অনেক তথ্য সাবেক মেয়র আমাকে বলেননি। তারা কিছু গোপন করে থাকলে আমার কিছু করার নেই।

অভিযোগের বিষয়ে সাবেক মেয়র গোলাম কবির বলেন, ওই জমি রোজিনা বেগমের কাছ থেকে সরকারি মূল্য কেনা হয়েছে। বিধান অনুযায়ী বৈধভাবে দলিল হয়েছে। জমিটি ক্রয়ের সময় জমির মধ্যস্থতা মজিবুর রহমান নামে এক লোক করেছেন। তার মাধ্যমে টাকা-পয়সা লেনদেন করা হয়েছে। পৌরসভার সচিব সাইফুর রহমান সম্পূর্ণ বিষয়টি জানেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাতে বাড়ি থেকে বের হন জাকির, সকালে মিলল মরদেহ

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ল

মীর মুগ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ‘কালি’

দুর্নীতির দায়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বরখাস্ত

ইসরায়েলকে ছেড়ে সৌদিতে মজেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রতিদিনের যেসব অভ্যাস অজান্তেই আপনার লিভারের ক্ষতি করছে

নারীর অধিকার সুরক্ষায় নিবন্ধন আইন শক্তিশালীকরণ জরুরি

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলো, কারণ কী

প্লট দুর্নীতি / হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি চুক্তি নিয়ে রায় ৪ ডিসেম্বর

১০

কঠোর গোপনীয়তায় কারাগার থেকে সরানো হলো স্ত্রীসহ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে

১১

যমুনা অভিমুখে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীরা, পুলিশের বাধা

১২

ছেলে-মেয়েকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

১৩

শীতে চুলের যত্নে যা করবেন

১৪

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে উৎপাদনে যাচ্ছে জিলবাংলা চিনি কল

১৫

প্রবাসীদের জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত কুয়েতের, ডিসেম্বরে কার্যকর

১৬

‘সুগার ড্যাডি’ চক্র বন্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ

১৭

আপনারা সবটুকু জেনে সত্যটাই প্রকাশ করবেন: তানজিন তিশা

১৮

শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের

১৯

ধানের শীষ মানুষের আস্থার প্রতীক : জালাল উদ্দিন

২০
X