সুশোভন অর্ক
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩, ০১:৫৮ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকায় ইয়াবার সিন্ডিকেট রিসোর্ট মালিক জাফরের

কাজী জাফর। ছবি : সংগৃহীত
কাজী জাফর। ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজারের কলাতলী পয়েন্টে অবস্থিত মেরিন ইকো রিসোর্টের মালিক কাজী জাফর সাদেক রাজু। রিসোর্ট মালিক হওয়ায় স্থানীয়ভাবে তিনি সম্মান নিয়েই চলেন। আড়ালে তিনি মাদক কারবারি। কক্সবাজার থেকে উড়োজাহাজে করে ঢাকায় পাঠান ইয়াবা, কখনো নিজেও নিয়ে আসেন। এ জন্য ঢাকায় গড়ে তুলেছেন ইয়াবার বড় সিন্ডিকেট। সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) সদস্যরা রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করলে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।

ডিএনসি কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকায় দুই স্তরে সিন্ডিকেট গড়েছেন জাফর। প্রথম স্তরে পাঁচ থেকে ১০ জন সদস্য রয়েছে তার। মূলত তাদের সঙ্গেই তার সরাসরি যোগাযোগ। ওই গ্রুপটির অধীনে অন্তত ৩০ জন সদস্য রয়েছে। যারা সেবক পর্যায়ে ইয়াবা পৌঁছে দেয়। এই সদস্যদের বেশিরভাগই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, মিরপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় তাদের অবস্থান।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ কালবেলাকে বলেন, ঢাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কক্সবাজারে বেড়াতে গেলে সখ্য গড়ে তুলতেন রিসোর্ট মালিক জাফর। যারা ইয়াবাসহ মাদক সেবনের আগ্রহ দেখাতেন, তাদের টার্গেট করতেন তিনি। এভাবে সখ্য গড়ে কয়েকজনের সঙ্গে ঢাকায় সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। ওই ব্যক্তিরা আবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সিন্ডিকেটের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, জাফরের সদস্যরা মূলত উড়োজাহাজে করে মাদক আনত। মাঝেমধ্যে নিজেও তা বহন করে আনতেন। সর্বশেষ ৪ জুলাই ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও ঈদের আগেও একবার ফ্লাইটে ইয়াবা নিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তার সিন্ডিকেটের আরও চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিএনসি জানায়, ৪ জুলাই গোপন খবরের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশান, বনানী, রামপুরাসহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাফরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৯ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

ওই অভিযানে থাকা ডিএনসির খিলগাঁও সার্কেলের পরিদর্শক আবদুর রহিম কালবেলাকে বলেন, জাফরের সিন্ডিকেট ঢাকায় মূলত অনলাইনে ইয়াবা বিক্রি করত। কেউ অর্ডার দিলে রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে পার্সেল হিসেবে ইয়াবা পৌঁছে দিত। ওই সিন্ডিকেটের সদস্য আরাফাত আবেদীন রাজধানীর মানিকদী এলাকায় জাফরের পাঠানো ইয়াবা মজুত রাখত। এ ছাড়া ভাটারা এলাকার তাহরিম ইসলাম রবিন, আহম্মেদ সাবাব এবং সাদি রহমানের কাছে জাফর ইয়াবার চালান পাঠাতেন। তারা আবার সিন্ডিকেটের অপর সদস্যদের মাধ্যমে খুচরা পর্যায়ে মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করত।

এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকায় জাফর সিন্ডিকেটের আরও কয়েক সদস্যের নাম পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা, নিহত ১৩

‘জাতীয় পার্টিকে সুযোগ দিলে নির্বাচন বর্জন করবে গণঅধিকার পরিষদ’

পৌরসভায় বড় নিয়োগ

৮ জেলায় নিয়োগ দিচ্ছে ব্র্যাক

কেমন থাকবে আজ ঢাকার আবহাওয়া

এইচএসসি পাসেই আবেদন করুন সেলস অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

গাজীপুরে ঝুট গুদামে ভয়াবহ আগুন

আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১০

১৯ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১১

বরিশালে চলতি বছরে ২০ হাজার ছাড়াল ডেঙ্গু রোগী

১২

আলোচিত চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামি শুটার শামীম আটক

১৩

ব্রাকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা, ভোট ২৯ ডিসেম্বর

১৪

চিরকুটে লেখা ‘মান সম্মান সব গেছে’, পাশে দম্প‌তির মরদেহ

১৫

কেশবপুরে বিএনপি নেতা আবু হত্যার রহস্য উন্মোচনসহ দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি

১৬

ঢাকায় গাইবেন আতিফ আসলাম, আয় যাবে জুলাই শহীদদের পরিবারে

১৭

ঢাকা-৭ আসনে ৩১ দফার প্রচারণা মীর নেওয়াজের

১৮

গভীর রাতে সাংবাদিক সোহেলকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি

১৯

বাংলাদেশের কাছে হারের পর যা বললেন ভারতের কোচ

২০
X