গ্রিল ঘেরা ফুল বাগানের এক কোণে মেহেদি গাছ। আর সেগুলোকে কেটে তৈরি করা হয়েছে শহীদ মিনার। গাঁদা ফুলে সাজানো হয়েছে সেটিকে। নান্দনিক শহীদ মিনারটি এরই মধ্যে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার সাবেক গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে নির্মাণ করা হয়েছে এটি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে সবাই যখন ইটপাথর দিয়ে শহীদ মিনার তৈরিতে ব্যস্ত, তখন ব্যতিক্রমী এ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস। গতকাল বুধবার বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সেখানে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ শহীদ মিনারের খবর দেখে পরিদর্শনে আসেন প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সোহেল আরমান নামে এক তরুণ বলেন, শিক্ষকের এমন সৃজনশীল কাজ আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
বাগান ও শহীদ মিনারের মূল কারিগর আব্দুল কুদ্দুস কালবেলাকে বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাগানের গাছ ও ফুল দিয়ে বিভিন্ন প্রতীক এবং স্তম্ভ তৈরি করি। গত বছরের মতো এবারও এই শহীদ মিনারটি তৈরি করেছি। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরাও বাগান দেখলে আকৃষ্ট হয়। এটিই বড় প্রাপ্তি। তিনি আরও বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও এখানে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বাগানের কাজ প্রসারিত করতে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার এসএমএ মান্নান কালবেলাকে বলেন, সাবেক গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরের শহীদ মিনারটি সত্যিই প্রশংসনীয়। এটির পেছনে যারা শ্রম ও মেধা ব্যয় করেছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই।
খানসামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন বলেন, এমন সৃজনশীল কাজ প্রশংসার দাবিদার। এ বাগান কোমলমতি শিশুদের মেধার বিকাশ ঘটাবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, বাগান করে সুনাম কুড়িয়েছেন প্রধান শিক্ষক। লেখাপড়ায় উৎসাহ বাড়াবে—এমন সৃজনশীল উদ্যোগ।