সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও চারজন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সিলেট-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সালুটিকরের পিয়াইনগুল কাজী কলিমুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসটি পর্যটক নিয়ে ভোলাগঞ্জের সাদাপাথরের দিকে এবং অটোরিকশাটি সিলেটের দিকে যাচ্ছিল। সংঘর্ষের পর বাহন দুটি রাস্তার পাশে ডোবায় পড়ে যায়। নিহতরা হলেন পাওরুয়া আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক কাজী আমির উদ্দিন, অটোরিকশাচালক কালন মিয়া, ইদ্রিস আলী, রিতা আক্তার, জালাল মিয়া, একাব্বর আলী ও মাইক্রোবাসচালক আবু তাহের। নিহতদের মধ্যে পাঁচজনই অটোরিকশার যাত্রী। বাকি দুজন অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের চালক। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, দুর্ঘটনার পর ছয়জনের লাশ হাসপাতালে আনা হয়। আর পাঁচজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে জালাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসাধীনরা হলেন সোলেমান আহমদ,
তার ছেলে আফনান আহমদ, নাসিতা নোহা ও আল আমিন। জানা গেছে, গতকাল সকালে ঢাকার মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধর্ল্লা গ্রামের সোলেমান আহমদ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাইক্রোবাসে সিলেটের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনস্পটে যাচ্ছিলেন। তারা এলাকায় পৌঁছালে মাইক্রোবাসের সামনের চাকা পাংচার হয়। সেটি নিয়ন্ত্রণ হারালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিলেটগামী অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংষর্ঘ হয়। এতে দুই বাহনই ছিটকে রাস্তার পাশে ডোবায় গিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালক ও এক নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজন ও হাসপাতালে আরেকজন মারা যান। সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া অফিসার (পরিদর্শক) শ্যামল বণিক বলেন, মুখোমুখি সংঘর্ষের পর গাড়ি দুটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন