শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠক করেও প্রতিশ্রুত দাবি আদায় না হওয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের আন্দোলন চলমান রেখেছেন শিক্ষকরা। তারা এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবি জানানোর পর তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা মেনে আন্দোলনের সমাপ্তি টানতে সম্মত শিক্ষকরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমদ বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই। তিনি আমাদের যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা মেনে আন্দোলন শেষ করে বাড়ি চলে যাব। মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ব্যানারে গত ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান করছেন কয়েক হাজার শিক্ষক। আন্দোলনের নবম দিন গত বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। তবে জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না পাওয়ায় বিটিএ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাচ্ছেন এখন। শিক্ষামন্ত্রী জাতীয়করণের বিষয়ে দুটি
কমিটি গঠনের বিষয়ে জানালেও আন্দোলনরত শিক্ষকদের শঙ্কা এ কমিটি আমলাদের মাধ্যমে গঠিত হবে। এ বিষয়ে শেখ কাওছার আহমদ কালবেলাকে বলেন, আন্দোলনের বিষয়ে ইতিবাচক না হলে প্রধানমন্ত্রী দুটি কমিটি করতে বলতেন না। তাহলে সেই কমিটিতে আমাদের অন্তর্ভুক্ত রাখবে না কেন? এখানে অবশ্যই কোনো কৌশল রয়েছে। শিক্ষানীতি ও আইন প্রণয়নের কমিটিতে আমাদের সংগঠনের নেতাদের রাখা হয়েছে। জাতীয়করণের বিষয়ে গঠিত কমিটিতেও শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব অবশ্যই প্রয়োজন এবং এটা রাখাও যৌক্তিক। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে শিক্ষকদের ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, যা ছিল কল্পনাতীত। সেই বিশ্বাস থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫ মিনিটের জন্য দেখা করতে চাই। জাতীয়করণ ছাড়াও ছোট কিছু দাবি রয়েছে, যা আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানাতে চাই। এরপর তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা মেনে আমরা চলে যাব।
মন্তব্য করুন