অন্যের সম্পত্তি দখল করে দলীয় কার্যালয় বসানোর অভিযোগ আসায় নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়ল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। গতকাল বৃহস্পতিবার দলটির প্রধানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেন শাহজাদা সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী ও তার ছোট দুই বোন। তাদের অভিযোগ, বিএসপিপ্রধান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী বড় ভাই হিসেবে পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন এবং সম্পত্তি দখল করতে দলটির কার্যালয়ে বসিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, আইনে শর্ত হচ্ছে একটি কেন্দ্রীয় অফিস, ২২ জেলা অফিস ও ১০০টি উপজেলা অফিস থাকতে হবে। এই শর্ত যারা পূরণ করেছে তারাই বাছাইয়ে টিকেছে। আর সম্পত্তি দখল করার বিষয়টি আদালতের বিষয়। সেটা তারা দেখবেন। আমাদের আইন অনুযায়ী নিজস্ব বা ভাড়া অফিস হলেও চলবে। যে অভিযোগ আছে, আরও যদি
অভিযোগ আসে, সে অভিযোগ আবার তদন্ত করব। দুপক্ষের বক্তব্য শুনব, তারপর সিদ্ধান্ত নেব। তিনি আরও বলেন, এখনো আমরা তো চূড়ান্তভাবে কাউকে নিবন্ধন দিইনি। যেসব অভিযোগ আসছে, বা আরও আসবে, সেগুলো আমরা গণশুনানি করব। অভিযোগ দেওয়ার জন্য ২৬ জুলাই পর্যন্ত সময় আছে। শুনানিতে যদি দেখা যায় শর্ত পূরণ করেনি বা অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তো নিবন্ধন পাবে না। এ জন্য আরেকটি তদন্ত না করে তো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম নেই এমন দলকে নিবন্ধন তালিকায় রাখা হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে—এমন অভিযোগের জবাবে এই কমিশনার বলেন, একটি দলের অনেক পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিটিস আছে; কিন্তু অফিস নেই তাহলে তো নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই। আইনে যদি থাকত—কতটি সভা করেছে, আন্দোলন করেছে, কতটা পোস্টার করেছে, কতটি বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে, তাহলে বলা যেত। সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে নিবন্ধনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
মন্তব্য করুন