আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলায় ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করে প্রায় দেড় মাস আগে আদালতে চার্জশিট দেয় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ২০ জুন সেটি গ্রহণ করেন আদালত। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদারসহ পলাতক ৯ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অথচ এক মাস পার হলেও কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের দাবি, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে তামিল প্রতিবেদনের জন্য ১৭ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলো শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টু, ফ্রিডম মানিক ওরফে জাফর, প্রধান সমন্বয়কারী সুমন সিকদার মুসা, শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ, শামীম হোসাইন, তৌফিক হাসান ওরফে বিডি বাবু, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুর রহমান ওরফে ‘ঘাতক’ সোহেল, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, মাহবুবুর রহমান টিটু, নাসির উদ্দিন মানিক, মশিউর রহমান ইকরাম, ইয়াসির আরাফাত সৈকত, আবুল হোসেন মোহাম্মদ আরফান উল্লাহ ইমাম খান, সেকান্দার শিকদার আকাশ, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম মাতবর, আবু সালেহ শিকদার, কিলার নাসির, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ মারুফ খান, ইশতিয়াক আহম্মেদ জিতু, ইমরান হোসেন জিতু, রাকিবুর রহমান রাকিব, মোরশেদুল আলম পলাশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুর, রিফাত হোসেন, সোহেল রানা, ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, সামসুল হায়দার উচ্ছল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল। এদের মধ্যে জিসান, মানিক, আশরাফ, মনসুর, রিফাত, সোহেল রানা, আমিনুল, উচ্ছল ও বাবুল পলাতক। রাকিব ও মোরশেদুল জামিনে। বাকি ২২ আসামি কারাগারে বন্দি।
গেল বছরের ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুরে টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় টিপুর মাইক্রোবাসের পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। পরে শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি। পলাতক আসামিরা প্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে ডলি বলেন, পরোয়ানা জারি হলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এটি খুবই কষ্টদায়ক ও বেদনাদায়ক।
আদালতের শাহজাহানপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শাহ আলম কালবেলাকে বলেন, টিপু হত্যা মামলার পলাতক ৯ আসামির ঠিকানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদন এলে পলাতকদের সম্পর্কে জানা যাবে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু বলেন, এ মামলায় পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। তাদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিতে রাষ্ট্রপক্ষ সহযোগিতা করবে।
শাহজাহানপুর থানার ওসি ফারুকুল আলম বলেন, তিন আসামির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়েছি। তাদের মধ্যে আশরাফ ও বাবুল দেশে আছে। তাদের অবস্থান জানার চেষ্টা করছি। তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর আসামি ফ্রিডম মানিক দেশের বাইরে রয়েছে।
মন্তব্য করুন