গত বিজয় দিবসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে ধারণা দেওয়ার পর থেকে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। গত ১৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানায় দলটি। এই সময়সীমার মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে তারা মনে করেন। সর্বশেষ গত রোববার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী ৫ আগস্ট জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। বিএনপির নেতৃত্বে আওয়ামী বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, সরকারের সামর্থ্য এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তুতি থাকলে এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য। আওয়ামী সরকারের পতনের ঐতিহাসিক এই দিনটিতে নির্বাচন করতে পারলে স্মরণীয় হয়ে থাকবে অন্তর্বর্তী সরকারও। তাদের অভিমত, সরকার এই প্রস্তাব আমলে নিলে ৫ আগস্টকে সম্মান দেওয়া হবে। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যে মনোভাব বা প্রস্তুতি, তাতে সরকার ও ইসি আরও সময় নিতে চায় বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এবারের আলোকপাতে মতামত সংগ্রহ করেছেন রাজকুমার নন্দী
রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে ৭-৮ মাসেই নির্বাচন সম্ভব- সাইফুল হক
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে পরবর্তী সরকারের ওপর চাপ পড়বে-মজিবুর রহমান মঞ্জু
গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে দ্রুত নির্বাচন সবার লক্ষ্য-মোস্তফা জামাল হায়দার
৫ আগস্ট নির্বাচন হলে সরকারও স্মরণীয় হয়ে থাকবে-ফরিদুজ্জামান ফরহাদ
নির্বাচন সংস্কার প্রশ্নে সব সিদ্ধান্তই হতে হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে-নুরুল হক নুর
৫ আগস্ট নির্বাচন হলে গণঅভ্যুত্থানকে সম্মান দেওয়া হবে-কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান