আমরা এমন এক নগর গড়ে তুলতে চাই, যেখানে উন্নয়নের সুফল সবার ঘরে পৌঁছাবে, কেউ বঞ্চিত থাকবে না। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে হলে জনসাধারণ, সিটি করপোরেশন এবং জেলা প্রশাসনকে একযোগে কাজ করতে হবে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে চাই সবার সম্মিলিত প্রয়াস।
চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ জলাবদ্ধতা নিরসন এখন অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে। খাল পুনর্খনন, ড্রেন সংস্কার এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন চলছে, যার ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে নগরবাসী জলাবদ্ধতার যন্ত্রণা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেয়েছে।
ট্রাফিক জ্যাম বা যানজটমুক্ত সিটি গড়তে সড়ক প্রশস্তকরণ, আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করার কাজ চলমান। ট্রাফিক পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে যান চলাচল আরও শৃঙ্খলিত করা হবে। তা ছাড়া ঈদের সময় বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য সহনশীলভাবে রেখে সাধারণ মানুষের সুবিধা সবসময় ঠিক রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলার মাঠ তৈরি ও সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত একটি করে খোলা মাঠ রাখার লক্ষ্যে জমি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তা ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দরজায় দরজায় বর্জ্য সংগ্রহ, পৃথকীকরণ ও আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে নগর পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর থাকে। মানুষের বিনোদনের চাহিদা পূরণে বিনোদন পার্ক ও উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ নির্মাণ করা হবে, যেখানে পরিবার-শিশু সবাই নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশে সময় কাটাতে পারবে। এসব কাজে জেলা প্রশাসনের বিশেষ ভূমিকা চাই।
চট্টগ্রামের উন্নয়ন যাত্রায় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা অপরিহার্য। একসঙ্গে কাজ করলে চট্টগ্রামকে আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য শহরে রূপ দেওয়া সম্ভব। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এমন এক চট্টগ্রাম গড়ে তুলব, যা হবে বৈষম্যমুক্ত, সুযোগ-সুবিধায় সমৃদ্ধ এবং মানবিকতায় ভরপুর।
মন্তব্য করুন