বাংলাদেশে বিদেশি কূটনৈতিকদের তৎপরতা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে বিদায়ী বছরে। তবে কূটনৈতিক চাপেও পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে ভারসাম্যের সম্পর্ক রাখতে পেরেছে সরকার।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের তৎপরতার কারণে ঢাকা-ওয়াশিংটন টানাপোড়েন ছিল গত দুবছর ধরেই। বিদায়ী ২০২৩ সালের শুরুতে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফরের পর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অব্যাহত চাপ সত্ত্বেও দুদেশের দূরত্ব কমতে থাকে।
এ বছর বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া। ফ্রান্স, রাশিয়া, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরাও এসেছিলেন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর সফর ছিল আলোচিত।
২৪ মে বাংলাদেশের জন্য ঘোষণা করা হয় নতুন মার্কিন ভিসা নীতি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করে চীন ও রাশিয়া।
জুলাইয়ে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ ১৩টি বিদেশি মিশন যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রদূতদের ডেকে অসন্তোষও প্রকাশ করে সরকার।
বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে ভারত, যা ছিল বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি ভারতের সমর্থনের বড় বার্তা।
বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের অর্জনের তালিকায় উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিজয়। এ ছাড়া ৪৫ বছর পর ঢাকায় আবারও নিজেদের দূতাবাস চালু করে আর্জেন্টিনা।