শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২
সাখাওয়াত মজুমদার
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০২ পিএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বইমেলায় আফরোজা খাতুনের বই ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’

সৌজন্য ছবি
সৌজন্য ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায়। ছাত্র-জনতার অদম্য শক্তি, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে এ অভ্যুত্থান। ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে জনগণের বিক্ষোভ, সরকারবিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা, গণমানুষের অংশগ্রহণ এই ঘটনাকে অনন্য করে তুলেছে।

অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত আফরোজা খাতুনের স্মৃতিচারণমূলক বই ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’। এই গ্রন্থটিতে গণঅভ্যুত্থানের ধারণা, ইতিহাস,পটভূমি, টাইমলাইন এবং তার পরিণতির বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে উঠে এসেছে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, সুশীল সমাজের ভূমিকা, ছাত্র-জনতার অগ্রণী ভূমিকা এবং সাধারণ জনগণের দৃঢ় প্রতিরোধ। গ্রন্থটির অন্যতম দিক হলো ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি, জুলাই গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ এর শহীদদের গেজেট সংযুক্ত করা হয়েছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূলে ছিল রাজনৈতিক দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানের ক্রমাবনতি। নানাবিধ বৈষম্য এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের অভাব জনগণের ক্ষোভকে তীব্র করে তোলে। এখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাস্তায় নেমে আসে। এতে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন— কেন রাষ্ট্রীয় কাঠামো এত দুর্বল হয়ে পড়েছিল, জনগণকে এমন গণঅভ্যুত্থানর দিকে এগিয়ে যেতে হলো?

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণ সমাজের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা তাদের সোচ্চার কণ্ঠ, প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে আন্দোলনকে সুসংহত করে তুলেছিল। তারা নেতৃত্ব দিয়েছিল এমন এক আন্দোলনে, যেখানে প্রতিটি শ্রেণিপেশার মানুষ একত্র হয়েছিল। এ ছাড়াও, এখানে রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া, প্রশাসনিক দমনপীড়ন এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা বিশ্লেষণ করেছে।

গ্রন্থটি কেবল ইতিহাস নয়; এটি একটি প্রামাণ্য দলিল। এতে ব্যবহৃত হয়েছে সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের অনেকের বক্তব্য, সংবাদ প্রতিবেদন এবং সমসাময়িক গবেষণার তথ্য।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, যখন মানুষ একত্রিত হয়, তাদের চাহিদা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগঠিত হয়, তখন ক্ষমতার কাঠামো কেঁপে ওঠে।

এই গ্রন্থটি শুধু ঘটনার প্রামাণ্য বিবরণ নয়; এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি শিক্ষা। এতে প্রজন্মের কাছে একটি বার্তা রয়েছে—মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, স্বাধীনতার জন্য এবং ন্যায়বিচারের জন্য, সংগ্রাম সবসময় প্রাসঙ্গিক।

‘শোভা প্রকাশ’ প্রকাশিত বইটি প্রচ্ছদমূল্য ৩৭৫ টাকা। তবে মেলা চলাকালে ৩ নম্বর প্যাভেলিয়ন থেকে নির্দিষ্ট ছাড়েও বইটি সংগ্রহ করা যাবে। পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রকমারি ও ওয়াফিলাইফ থেকেও বইটি কেনা যাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘নির্বাচনে আমলাদেরকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে’

সাবেক এডিসি শচীন মৌলিক কারাগারে

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন শনিবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলন

শেষ দিনেও ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত দেয়নি ৭ রাজনৈতিক দল

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মৃত্যুর মিছিল, তিন বছরে প্রাণ হারান ১৮৩ জন

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি 

সুদ দিতে না পারায় বসতঘরে তালা, বারান্দায় রিকশাচালকের পরিবার

১০

দেশ বাঁচাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে : চরমোনাই পীর

১১

এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি-ভাঙচুর, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১২

জেলের জালে বড় ইলিশ, ৯ হাজারে বিক্রি 

১৩

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১৪

আগামী সংসদ প্রথম তিন মাস ‘সংবিধান সংস্কার সভা’ হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব

১৫

ধরলার তীব্র ভাঙন, টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি

১৬

নেতা ও ভোটারের জবাবদিহিই হবে শ্রেষ্ঠ সংস্কার : মঈন খান

১৭

পাপের ফল ওদের ভোগ করতেই হবে : রাশেদ খান

১৮

ক্ষমা চাইলেন স্বাধীন খসরু 

১৯

স্বাধীনতাবিরোধীরা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : আমিনুল হক

২০
X