চাহিদার তুলনায় জোগান বাড়ছে না বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের। ফলে সোমবার (৫ জুন) আন্তঃব্যাংক লেনদেনে এ বৈদেশিক মুদ্রার দর উঠল সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা ৮০ পয়সায়। এক বছর আগে ডলারের বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পর এটিই সর্বোচ্চ। যদিও গতকাল এই দর ১০৭ টাকা ৭০ পয়সায় নেমে আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে আন্তঃব্যাংক দরে এই চিত্র দেখা গেছে।
গত ১৬ মে প্রথমবারের মতো আন্তঃব্যাংকে ডলারের দর উঠেছিল ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। এরপর সামান্য কিছু বেড়ে ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা হয়ে ফের ১০৮ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে আসে মে মাসের শেষের দিকে। সোমবার তা বাড়ল আরও ৩০ পয়সা।
ডলারের এ দরের সঙ্গে ব্যাংক গ্রাহকের কাছ থেকে কমিশন আকারে ১০ থেকে ৫০ পয়সা পর্যন্ত যোগ করে। ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ডলারের দর বেড়েছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় দেশের ডলার উপার্জনের মূল ক্ষেত্র।
মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার, যা ২০২২ সালের একই সময়ের চেয়ে ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ডলার বা ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ কম। ওই সময় রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ মাসে গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। আর এপ্রিলে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে গড় রপ্তানি আয় ছিল ৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। অবশ্য গত মার্চ ও এপ্রিলে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে থাকলেও রপ্তানি আয়ে মে মাসে ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। অন্যদিকে, গত এপ্রিল শেষে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে আমদানি খরচ গড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রা আয়-ব্যয়ের এ খরচে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় সর্বশেষ গত ১ জুন রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের বিপরীতে ডলারের দর ফের বাড়ায় বাংলাদেশ ফরেইন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। নতুন দরে রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারে পাওয়া যাবে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা, আর রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৭ টাকা পাবেন। মঙ্গলবার বাফেদা ব্যাংকগুলোকে ডলারের দর সরবরাহ করেছে, তাতে দেখা যায় প্রায় সব ব্যাংকে আমদানি পর্যায়ে ডলারের দর ছিল সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা।
এতে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ডলার দরের ব্যবধান ২ থেকে কমে দেড় টাকায় নেমে এলো। এর আগে গত ১ মে ডলারের দর বাড়িয়ে রেমিট্যান্সে ১০৮ ও রপ্তানিতে ১০৬ টাকা করেছিল বাফেদা।
মন্তব্য করুন