রাজধানীর পৃথক জায়গা থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, দুই ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার করেছেন। তারা হলেন - আব্দুর রহিম (৪৫) ও সাদমান ইসলাম রাতুল (২৭)।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় খিলগাঁওয়ে ও রাত ১০টায় বাড্ডায় এ দুটি ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
খিলগাঁও থানার এসআই শিহাব বাহাদুর জানান, পুলিশ খবর পেয়ে খিলগাঁও দক্ষিণ নন্দীপাড়া এলাকার একটি টিনশেড বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করেন। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢামেকে নিলে রাত ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আব্দুর রহিমের পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই শিহাব আরও জানান, রহিমের স্ত্রী জাকিয়া বেগম জর্ডান প্রবাসী। ১০-১৫ দিন আগে তিনি দেশে ফেরেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে স্বামীর ওপর অভিমান করে স্ত্রী মিরপুরে তার বড় বোনের বাসায় যান। এরপর সন্ধ্যায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস নেন আব্দুর রহিম। পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক আব্দুর রহিম শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুরা গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে।
অন্যদিকে রাত ১০টায় মধ্য বাড্ডার বউবাজার এলাকায় রাতুল নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাদমানের ভাই রাফিন জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে নিজের রুমে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে ফাঁস নেন সাদমান। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ঢামেকে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাদমান ওই এলাকার বাসিন্দা কামরুল ইসলামের ছেলে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুজনের মরদহ ঢামেকের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য করুন