কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০১ এএম
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ
যে কারণে পুলিশি বাধা 

বন্ধ হলো গুলশান শপিং সেন্টার ভাঙার কাজ

মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টার ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টার ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টার ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের নির্দেশের পর সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতেই শুরু হয় ভাঙার কাজ। তবে অরক্ষিত অবস্থায় কাজ শুরু করলে কিছু অংশ ভাঙার পর রাতেই পুলিশি বাধায় তা বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে সকালে গুলশান-১ এর ‘গুলশান শপিং সেন্টার’ গুঁড়িয়ে দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ নির্দেশ দেন। ৩০ দিনের মধ্যে শপিং সেন্টারটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এক মাসের মধ্যে গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার আদেশ দেন। ডিএনসিসি, রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। রাজউকের পক্ষে ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় উপস্থিত ছিলেন।

আইনজীবী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী সেদিন জানান, গত জুলাইয়ে রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বানী চিত্র ও চলচ্চিত্র নামে দুটি কোম্পানি। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। রুলের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গুলশান শপিং সেন্টার ৩০ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দেন।

এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

রাজধানীর গুলশান শপিং সেন্টার ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গত ১৩ জুলাই ভবনটি সিলগালা করে দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। শপিং সেন্টারটিতে ৭২৩টি দোকান আছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ বাবদ চুক্তি অনুযায়ী দেওয়া হয় ২০০ কোটি টাকা। শুরুর দিকে আপত্তি থাকলেও সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে খুশি ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ভবনটি ভেঙে নতুন শপিং সেন্টার হলে ৪০০ ব্যবসায়ী দোকান করার সুযোগ পাবেন। ইতিমধ্যে অনেককে দেওয়া হয়েছে দোকান বরাদ্দ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এবার আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলও খেলবে নেশনস লিগ!

রাতে আলো জ্বালিয়ে ঘুমানো ভালো নাকি ক্ষতিকর? যা বলছে গবেষণা

ঢাকা-৫ আসনে আজহারির প্রার্থিতার খবর গুজব

টিনশেড কলোনিতে ভয়াবহ আগুন, ১০০ ঘর পুড়ে ছাই

জুটি বাঁধলেন খাইরুল বাসার ও সাদনিমা

জোবায়েদ হত্যা / জবানবন্দিতে বর্ষাকে নিয়ে যা বললেন জবি ছাত্র সৈকত

অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের বিষয় স্পষ্ট করলেন ফয়েজ তৈয়্যব

‘ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে’

প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা, প্রধান শিক্ষককে কারাদণ্ড

আমিরে জামায়াতের সঙ্গে ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১০

ঢাবির ফার্মেসি অনুষদে ডিনস অ্যাওয়ার্ড ও বৃত্তি প্রদান

১১

গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ উইক ২০২৫-এর জাতীয় পর্বের উদ্বোধন

১২

মামলা করলেন ‘কেজিএফ’ তারকা যশের মা

১৩

শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে জকসু নির্বাচনে প্রার্থী সাজ্জাদ

১৪

‘সোলজার’ সিনেমায় রাকিন 

১৫

গাজীপুরে কারখানায় লাগা আগুন ৩ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

১৬

কয়রায় অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ ঝুঁকি নিরসনে কর্মপরিকল্পনা যাচাই সভা

১৭

ব্রাকসুর তপশিল ঘোষণা, নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর

১৮

ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারী আরেক কোম্পানির নাম ফাঁস

১৯

জকসুতে স্বতন্ত্র হিসেবে জিএস পদে লড়বেন বাঁধন সভাপতি মাবুদা

২০
X