

চট্টগ্রাম নগরীর যানজট কমাতে ও গণপরিবহন ব্যবস্থায় আধুনিকতা আনতে মনোরেল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সিটি করপোরেশনের রেস্টহাউসে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় চারটি সম্ভাব্য রুট নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, মনোরেল প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক ফয়সাল রহমান, ওরাসকম কনস্ট্রাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কাউসার আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরামর্শক কামরান আনোয়ার নাগিভ এবং চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব।
সভায় জানানো হয়, চারটি রুটে মনোরেল চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে— কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত : বহদ্দারহাট, চকবাজার, লালখানবাজার, দেওয়ানহাট ও পতেঙ্গা হয়ে (২৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার)। সিটি গেট থেকে শহীদ বশিরুজ্জামান চত্বর পর্যন্ত : এ কে খান, নিমতলী, সদরঘাট ও ফিরিঙ্গিবাজার হয়ে (১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার)। অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গিবাজার পর্যন্ত : মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালি হয়ে (১৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার)। সিটি গেট থেকে নিমতলা পর্যন্ত : পোর্ট কানেক্টিং রোড ও আগ্রাবাদ এক্সেস হয়ে (১০ দশমিক ৯ কিলোমিটার)।
সভায় আরও জানানো হয়, ওরাসকম কনস্ট্রাকশন পিপিওটি পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি ২০ থেকে ২৫ বছর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মনোরেল পরিচালনার পর তা চসিকের কাছে হস্তান্তর করবে।
প্রকল্পের জন্য সেন্ট্রাল স্টেশন, স্টোরেজ ও রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে প্রয়োজন হবে প্রায় ৫০ একর জমি। প্রতিদিন পরিচালনায় লাগবে ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হতে সময় লাগবে ৭ থেকে ৮ মাস, আর নির্মাণকাজ শেষ করতে লাগবে ৩ থেকে ৪ বছর।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের জনসংখ্যা ও যানজট বিবেচনায় আধুনিক গণপরিবহন এখন সময়ের দাবি। মনোরেল চালু হলে নগরবাসী পাবেন নিরাপদ, সময়নিষ্ঠ ও আরামদায়ক যাতায়াত সুবিধা। এতে কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে, যানজট কমবে, নগর অর্থনীতি হবে আরও গতিশীল।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সিটি করপোরেশন মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে।
মন্তব্য করুন