চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গায় ৮ টুকরো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত হাসান আলীর ছোট ছেলে শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকে নিয়ে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে অভিযান চালানো হয়েছে।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর পতেঙ্গার ১২ নম্বর গেট থেকে হাসান আলীর লাশের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার হয়। তবে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে মাথার হদিস পাওয়া যায়নি। এবার ছেলেকে নিয়ে বাবার সেই মাথার খোঁজ চালিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে ঢাকার হাজারীবাগ থেকে হাসান আলীর ছোট ছেলে শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে তাকে নিয়ে চট্টগ্রামে নগরের পতেঙ্গা সৈকতে মাথার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। এরপর তাকে আদালতে পাঠায় পিবিআই। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম জুয়েল দেবের আদালত তাকে তিন দিনের রিমান্ডের অনুমতি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খাঁন বলেন, শফিকুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
পিবিআই জানিয়েছে, বাবাকে খুনের পর পালিয়ে ঢাকার হাজারীবাগে একটি ট্যানারিতে চাকরি নিয়েছিল শফিকুর। টানা অভিযানের পর তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন শফিকুরের মা ছেনোয়ারা বেগম (৫০), বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান (৩২) ও শফিকুরের স্ত্রী আনারকলি (২৪)।
খুনের শিকার মো. হাসান চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী গ্রামের সাহাব মিয়ার ছেলে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরেই মা ও ছেলেরা মিলে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন