নেটকমলার্নিং বাংলাদেশ তাদের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে। ঢাকার গুলশান ২-এর পিংকসিটির বিয়ন্ড বাফেট-এ এক প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করাহয়। অনুষ্ঠানে কর্মচারী, গ্রাহক, ইন্ডাস্ট্রি প্রফেশনালস, অংশীদার, শিক্ষাবিদ এবং বিশেষ অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। এতে কোম্পানির প্রথম বছরের সাফল্য এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শিক্ষা ও ডিজিটাল রূপান্তরে নেটকমলার্নিং–এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে ‘নেটকমলার্নিং বাংলাদেশের ১ম বর্ষের যাত্রা’ শীর্ষক একটি বিশেষ ভিডিও দেখানো হয়, যার বর্ণনা দেন সিনিয়র বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মো. ইমদাদুল ইসলাম ইমদাদ। এতে গত এক বছরের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন, অংশীদারিত্ব এবং কোম্পানির নানা কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। হেড অব পার্টনারশিপস আবদুর রহমান মামুন তার বক্তব্যে অর্জিত অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন এবং বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নে নেটকমের লক্ষ্যের প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
নেটকমলার্নিংয়ের সিইও রাসেল সরদার অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি তার বক্তব্যে নেটকম লার্নিং বাংলাদেশের প্রথম বছরের ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ টিমকে নিয়ে তার আস্থার কথা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাধারা ও আগামীর বিশ্বে তাদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় নেটকমলার্নিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের পেশাদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন। অনেক বিশিষ্ট অতিথি, শিল্প বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানরা নেটকমলার্নিং বাংলাদেশের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানের মূলআকর্ষণ ছিল প্রধান অতিথি নেটকমলার্নিংয়ের জেনারেল ম্যানেজার – গ্লোবাল অপারেশনস, জনাব আব্দুল আহাদের মূল বক্তব্য। তিনি নেটকমলার্নিং-বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন এবং বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান, প্রতিভা বিকাশ এবং ডিজিটাল রূপান্তরে নেটকমের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানের শেষভাগে, সিনিয়র ম্যানেজার - সেলস, নেটকমলার্নিং বাংলাদেশ, ইশান বিন জিল্লুর রহমান তার সমাপনী বক্তব্য দেন। এরপর কেক কাটা হয় এবং মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত সকলে নেটকমের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের ভাবনা ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
নেটকমলার্নিং বাংলাদেশের সাফল্যময় প্রথম বছর শেষ করে সকলের প্রত্যাশা, দ্রুত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল বিশ্বে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে নেটকমলার্নিং তাদের ভিসনটেন-টেন-টেনঅর্জনে এগিয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন