সিঙ্গার ও বেকো ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনের জন্য কনসেপ্ট স্টোর চালু, রাজধানীতে করপোরেট হেডকোয়ার্টার স্থানান্তর ও একটি অত্যাধুনিক কারখানা নির্মাণের মধ্য দিয়ে দেশে নতুন যাত্রা শুরু করছে সিঙ্গার বাংলাদেশ। তুরস্কের কচ গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ ও আৰ্চেলিকের সহযোগিতায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড রূপকল্প ট্রান্সফর্ম ফর গ্রোথ (উন্নতির লক্ষ্যে রূপান্তর) উন্মোচন করে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেল এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিঙ্গার নতুন উদ্যোগের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করবে, যার মধ্যে গুলশান ১-এ কনজ্যুমার ডিউরেবলস ইন্ডাস্ট্রিতে অনন্য একটি কনসেপ্ট স্টোর চালু। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পুরস্কার বিজয়ী আৰ্চেনিক কনসেপ্ট স্টোরের ডিজাইন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এটি করা হয়েছে। স্টোরটিতে সিঙ্গার ও বেকো ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনের জন্য বিশেষ এক্সপেরিয়েন্স জোন রয়েছে। স্টোরটির পণ্য ক্রয়ের আগে সেটি যাচাই-বাছাই করার সুযোগ। এই স্টোরে প্রথমবারের মতো আর্চেলিকের গ্লোবাল ব্র্যান্ড বেকোর ‘শপ-ইন-শপ’ রাখা হয়েছে।
সিঙ্গার বাংলাদেশ করপোরেট হেডকোয়ার্টার ঢাকার গুলশান ২-এ স্থানান্তরিত করছে। তুর্কি স্থপতিদের দ্বারা ডিজাইন করা এই অত্যাধুনিক অফিসটি কর্মীদের জন্য রয়েছে বিশ্বমানের কর্মক্ষেত্র ও সুযোগ-সুবিধা।
সম্মেলনে সিঙ্গার বাংলাদেশের নতুন কারখানা উৎপাদন শুরু করার জন্য প্রস্তুত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আৰ্চেলিকের ৭৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত নতুন কারখানাটি ৪ হাজারের বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এবং স্থানীয় উৎপাদনে কোম্পানির প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে যাবে।
সিঙ্গারের এই পরিবর্তন বিষয়ে আর্চেলিকের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার জেমাল জান ডিনচার বলেন,
সিঙ্গার বাংলাদেশের ১১৮ বছরের ইতিহাস। সিঙ্গারই দেশে কনজ্যুমার ডিউরেবলস ইন্ডাস্ট্রিতে অগ্রগামী। সিঙ্গারকে দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা কিছু উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নিয়ে ধীরে ধীরে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে পরিবর্তন করছি।
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও এম এইচ এম ফাইরোজ বলেন,
অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। বাংলাদেশের গ্রাহকদের জীবনযাত্রার মানও পরিবর্তন হচ্ছে। তাই সিঙ্গার বাংলাদেশ গ্রাহকদের কাছে সবচেয়ে সমসাময়িক ও বিশ্বমানের সেবা নিয়ে আসার জন্য তার কার্যক্রম রূপান্তর করছে। আমাদের ওপর ভোক্তাদের দৃঢ় ভরসা আছে। তাই সিঙ্গার অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কনজ্যুমার ডিউরেবল পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিতে পরিণত হবে বলে আশা করি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আর্চেলিকের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার জেমাল জান ডিনচার, আর্চেলিকের সাউথ এশিয়া রিজিওনাল মার্কেটিং, বিজনেস ট্রান্সফর্মেশন অ্যান্ড গ্রোথ পরিচালক হান্দান আব্দুররহমানোউলু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন