সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সুফলভোগীদের পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বুধবার (২৬ জুলাই) রাত তিনটার দিকে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম গ্রামের আদারপাড়ার লাগার পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
তাড়াশ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তালম গ্রামের আদার পাড়ার ৫ বিঘা জলায়তনের লাগার পুকুরটি নিমগাছি মৎস্য চাষ প্রকল্পের একটি পুকুর। যা ওই পুকুর পাড়ে বসবাসরত লোকজন লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ওই পুকুর নিয়ে সুফলভোগীরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। যা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকে মাছ ধরার জন্য সুফলভোগীদের দুটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তারা মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বাক-বিতণ্ডায় জড়ান এবং আব্দুল হামিদ নামের এক সুফলভোগীর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
আরও পড়ুন: জাল সনদে ২০ বছর চাকরি
খবর পেয়ে তাড়াশ-রানীর হাট আঞ্চলিক সড়কে টহলে থাকা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তালম আদার পাড়ার কমল প্রমাণিকের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই পাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা লাঠিসোটাঁ ও হাঁসুয়া নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে তাড়াশ দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতরা হলেন, কনস্টেবল ফিরোজ হোসেন ও সনাতন কুমার মণ্ডল।
বিষয়টি তাড়াশ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তাড়াশ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) দেবব্রত বিশ্বাস বাদী হয়ে ১৭ জন নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পাশাপাশি পুলিশ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে সাত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সিরাজুল ইসলাম (৬২), মোকসেদ আলী (৫৮), মো. জামসেদ আলী (৬৫), মো. সোলায়মান আলী (৫০), নুরুজ্জামান প্রামাণিক (২৬), মোছা. মানছুরা বেগম (৪৫) এবং মোছা. জাহানার খাতুন (৪৫)।
মন্তব্য করুন