গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তায় ছাত্র আন্দোলন ঘিরে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
শনিবার (৩ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে মাওনা চৌরাস্তার আশপাশে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টা থেকে আন্দোলনকারীরা মাওনা চৌরাস্তার পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে অবস্থান নেন। আর আ.লীগের কর্মী-সমর্থকরা মাওনা চৌরাস্তার ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। কিছু সময় পর ছাত্ররা লাঠিসোঁটা হাতে মিছিল নিয়ে মাওনা ফ্লাইওভার এলাকায় যান। এ সময় ছাত্ররা পুলিশ ও আ.লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন। পরে আন্দোলনকারীরা পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে ফিরে যান। এর কিছু সময় পর আ.লীগ সমর্থিত নেতাকর্মীরা মাওনা ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নেন এবং খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করেন। এক পর্যায়ে ফের আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে মাওনা চৌরাস্তায় যান এবং মাওনা হাইওয়ে, গাজীপুর জেলা পুলিশ, শ্রীপুর থানা পুলিশের তিনটি বক্সে ভাঙচুর চালান।
আরও জানা যায়, এ সময় গাজীপুর জেলা পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে উত্তেজিত আন্দোলনকারীরা আশপাশের সাঁটানো বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ ভাই ভাই সিটি কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান নেয়। পরে আন্দোলনকারীরা একত্রিত হয়ে মাওনা-শ্রীপুর সড়কের ভাই ভাই সিটি কমপ্লেক্সের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেওয়া পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই কমপ্লেক্সে থাকা দুটি পুলিশের গাড়িসহ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এছাড়া কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ছাত্র আন্দোলনকারীরা রাস্তায় নেমে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় তারা আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।