কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬ বিক্ষোভকারী। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলকারী ও সাধারণ জনতা কুষ্টিয়া মডেল থানায় আগুন দেয়। ভাঙচুর করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের পিটিআই রোডের বাড়িতে।
সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকেই ব্যাপক সহিংসতা ঘটে।
সকাল থেকেই উত্তেজনা দেখা দেয় গোটা শহরজুড়ে। শহরের ছয় রাস্তার মোড়, থানামোড়, পাঁচরাস্তার মোড় পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে থেমে থেমে। বিকেল ৩টার পর মজমপুর গেটে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ। দিনব্যাপী চলা সহিংসতায় অন্তত ৬ বিক্ষোভকারী প্রাণ হারান। আহত হন অন্তত ৫ শতাধিক বিক্ষোভকারী।
তবে বিকেলের পর থেকেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে গ্রামে। শুরু হয় বাড়িঘর ভাঙচুর আর লুটপাট।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তার দেশ ছেড়ে পালানোর সংবাদে উল্লাসে মেতে ওঠে আন্দোলনকারীরা। শুধু আন্দোলনকারীরাই নয়, ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে সাধারণ মানুষও।