ফুল কে না ভালোবাসে। গান করতে গিয়ে ফুলের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হন গোপীনাথ বর্মন। মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করেন গানের পেশা ছেড়ে ফুলের বাগান করবেন। বাড়ির আঙিনায় ছোট্ট পরিসরে গড়ে তোলেন ফুলের বাগান।
এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি এখন ৫ বিঘা জমিতে ফুলের চাষ করছেন। দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি করেছেন বিশ্রামাগার। তার প্রতিদিনে আয় এখন ২ হাজার টাকা।
সরেজমিনে জানা যায়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইাউনিয়নের বাফলা গ্রামের বাসিন্দা গোপীনাথ বর্মন গান করে বেড়াতেন। রংপুরে একদিন গান করতে গিয়ে একটি ফুলের বাগান তার মন কেড়ে নেয়। ফুলের সৌন্দর্যে আত্মহারা হয়ে যান তিনি। মনে মনে তিনি সিদ্ধান্ত নেন একটি ফুলের বাগান করার। সেখান থেকে ফিরে এসে কয়েক প্রজাতির ফুলের চারা সংগ্রহ করে বাড়ির উঠানে ছোট্ট পরিসরে গড়ে তোলেন একটি ফুলের বাগান।
কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতায় ২০ বছরে তিনি ৫ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করে এখন স্বাবলম্বী। ওই বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে রজনীগন্ধা, জারবেরা গোলাপ, গেন্ডারিয়া, ক্যানডুলার, গাচুবাম ট্রেটাজ, মন্ডিওঝাউ, চাইনিজ পাম্প, ললনি পাম্প, ময়ুরপঙ্কিরাজ কার্পেট ঘাসসহ নানা প্রজাতির মূল্যবান ফুল।
প্রতিদিন শতাধিক ফুলপ্রেমী দর্শনার্থী বেড়াতে আসেন তার বাগানে। দর্শনার্থীদের ১০ টাকা টিকিট কেটে ঢুকতে হয় ওই বাগানে।
গোপীনাথ বলেন, ফসলের তুলনায় ফুল চাষে উৎপাদন খরচ কম। ৫ বিঘা জমিতে বছরে খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। আর সব মিলিয়ে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, মাতৃভাষা দিবস ও ভ্যালেন্টাইন ডে ছাড়াও বিশেষ দিবসগুলোতে ৫০ হাজার টাকারও বেশি ফুল বিক্রি হয়।
মন্তব্য করুন