ঢাকার অদূরে শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষের জেরে আবারও দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় অন্তত ৭৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সাভার-আশুলিয়া, ধামরাইয়ের প্রায় দুই হাজার কলকারখানার মধ্যে বেশির ভাগ কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি, কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম।
জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন ধরে সম্প্রতি নারী ও পুরুষ শ্রমিককে সমতার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ, বিভিন্ন কারখানায় হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ নানা দাবিতে সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করার ফলে পোশাক খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
বিজিএমইএর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গতকাল রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পোশাক কারখানায় মালিক পক্ষ উপস্থিত থেকে কারখানা খোলা হলেও দুপুরের পরে অস্থিরতা বেড়ে যায়। পরে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলোচনা হয়, আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় অন্তত ৩০টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল থেকে ৭৯টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
পোশাক শ্রমিকদের দেওয়া তথ্য মতে, গতকাল একটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আব্দুল্লাহপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত সড়কের শিমুলতলা এলাকায় হাজিরা বোনাস, গত মাসের বেতনসহ নানা দাবিতে ইউফোরিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা চালালে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।
শিল্প পুলিশ জানায়, শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবির মুখে মালিকপক্ষ আলোচনা করলেও সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি, ফলে তৈরি হয়েছে জটিলতা। প্রত্যাশা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে।
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম কালবেলাকে বলেন, আজ প্রায় ৭৯টি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। শ্রমিক ও মালিকপক্ষ আন্তরিক হয়ে সংলাপে বসলেই কেবল এই সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব।
মন্তব্য করুন