মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৯৯ শতাংশ খাঁটি মসলার মিলে পুরোটাই ভেজাল

হাজি নজীব আহমেদ সওদাগরের মিলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ছবি : কালবেলা
হাজি নজীব আহমেদ সওদাগরের মিলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ছবি : কালবেলা

মসলার মিলের সাইনবোর্ডে লেখা, ‘৯৯% খাঁটি মসলা, স্বাদে অতুলনীয়’। কিন্তু সেই খাঁটি মসলার দোকানে ঢুকেই আঁতকে উঠবেন যে কেউ। পচা মরিচ শুকিয়ে গুঁড়া করা হয় সেই মিলে। শুধু তাই নয়, যে ইঞ্জিনে মসলা গুঁড়া করা হয়, সেখানেই বানানো হয় দাঁতের মাজন।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কালামিয়া বাজারের হাজি নজীব আহমেদ সওদাগরের মিলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে দেখা গেছে এমন চিত্র। এ ঘটনায় জরিমানা করা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা।

অভিযানে ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ, অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মেট্রো) মো. আনিছুর রহমান, সহকারী পরিচালক রানা দেব নাথ এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আকতার।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, এই মিলে ব্যবহার অনুপযোগী, একেবারে নষ্ট, ধুলাবালি ও ময়লা আবর্জনাযুক্ত মরিচ গুঁড়া করা হচ্ছিল। আমাদের ধারণা, ভালো মরিচের গুঁড়ার সঙ্গে এগুলো মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল। তবে দোকানি আমাদের কাছে বলেছেন, এই মরিচের গুঁড়া আচারে ব্যবহার করার জন্য বিক্রি করেন।

তিনি বলেন, আচারে হোক কিংবা অন্য কোনো খাবারেই হোক না কেন এই মরিচের গুঁড়া খাওয়ার একেবারেই অনুপযোগী। আর এই মিলে একই সঙ্গে দাঁতের মাজন তৈরি করা হয়। এই মাজনে অনেক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। কোনোভাবেই যে মিলে দাঁতের মাজন তৈরি করা হবে সেখানে মসলা বানানো যাবে না।

উপপরিচালক আরও বলেন, এসব অভিযোগে এই মিলের মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও দোকানটিতে তদারকি করা হবে।

মিলের মালিক হাজি নজীব আহমেদ সওদাগর বলেন, এগুলো বিভিন্ন জনের। তারা আমার কাছে নিয়ে আসেন, আমি শুধু গুঁড়া করে দেই। মরিচগুলো আচারের কাজে ব্যবহার করি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৩ বছরের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চায় গাজীপুরবাসী

সুন্দরবনে ভেসে গিয়ে বেঁচে ফিরলেন কুয়াকাটার পাঁচ জেলে

শিশু হত্যার দায়ে একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন

যুক্তরাজ্যের বিশেষ দূতের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধিদলের বৈঠক

পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন

বৃষ্টি ও ভ্যাপসা গরম নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

গুগলে দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য জানার ৭ কৌশল

পুনরায় বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হলেন মনজুর আলম

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আ.লীগ নেতা ও তার ছেলের ইলিশ শিকার

১০

কবরস্থান-মসজিদ রক্ষায় রেলকর্মীদের আলটিমেটাম

১১

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকার / এককভাবে সরকার গঠনে আত্মবিশ্বাসী তারেক রহমান

১২

চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যের প্রতারণা, সেনা অভিযানে গ্রেপ্তার

১৩

কোরআনে হাফেজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১৪

বাংলাদেশে নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে তুরস্ক

১৫

৫ দিনের মাথায় আবারও গুলি করে যুবককে হত্যা

১৬

আ.লীগ নেত্রী আকলিমা তুলি গ্রেপ্তার

১৭

এক ভিসায় যাওয়া যাবে আরবের ৬ দেশে, কীভাবে?

১৮

ভৈবর নদে তলিয়ে গেল সুন্দরবনের ট্যুরিস্ট জাহাজ

১৯

অপহরণ করে ১০ কোটি টাকা আদায়ের মামলায় লিপটন কারাগারে 

২০
X