আফজাল হোসেন, বারহাট্টা (নেত্রকোনা)
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কালবেলায় সংবাদের পর বেগম মিয়ার পাশে রূপায়ণ গ্রুপ

বেগম মিয়া। ছবি : কালবেলা
বেগম মিয়া। ছবি : কালবেলা

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর ৮৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী বৃদ্ধের পাশে দাঁড়িয়েছে রূপায়ণ গ্রুপ। মাছ রাখার ছোড়কা বিক্রি ও ভিক্ষা করে সংসার চালানো বেগম মিয়াকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন রূপায়ণ গ্রুপের কর্ণধাররা।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রূপায়ণ গ্রুপের রাব্বি নামে এক কর্মকর্তা কালবেলা প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন, বেগম মিয়াকে রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন করতে।

পরে রোববার বেলা ১১টায় নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা আসমা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের কাদা রাস্তায় পৌঁছে বেগম মিয়ার বাড়িতে গিয়ে আবেদন ফরমটি পূরণ করে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবেদনের ফরমটি রূপায়ণ গ্রুপ থেকেই পাঠানো হয়েছিল। তাদের কথা অনুযায়ী আবেদন ফরমটিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত একটি জোর সুপারিশ সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ‘ভাত তারা দিতে চায়, আমি খাই না’ শিরোনামে কালবেলা একটি সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদটি পড়ে ঢাকা থেকে রূপায়ণ গ্রুপের কর্ণধাররা বেগম মিয়াকে সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করেন।

রূপায়ণ গ্রুপের ওই কর্মকর্তা রাব্বি বলেন, ৮৫ বছর বয়সের একটি লোক এখনো এত পরিশ্রম করেন, এটা বড় কষ্টের বিষয়। আমাদের কোম্পানি এই প্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে দেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তাই টাকা গ্রহণের মাধ্যম হিসেবে বৃদ্ধ বেগম মিয়ার ছোট ছেলে আ. হালিমের নগদের অ্যাকাউন্ট নম্বর রূপায়ণ গ্রুপে দেওয়া হয়েছে।

কালবেলায় প্রকাশিত সংবাদটির কিছু অংশ এমন ছিল- বৃদ্ধ আবেগাপ্লুত হয়ে নিজের ছেলেদের ব্যাপারে বলেন, ‘আমার সেলিম, হেলিম, হালিম নামে তিন ছেলে আর পাঁচটি মেয়ে আছে। একেকজন চার থেকে পাঁচজনের বাপ হয়েছে। আমি ছোট ছেলের সঙ্গে থাকি। অন্যরা আমাকে ভাত দেয় না। তারা বলে, আমার নিজের বাড়ি থেকে গিয়ে দূরে অবস্থিত তাদের বাড়িতে খেয়ে আসতে। আমার পেটে যখন ক্ষুধা লাগে তখন আমার বৌয়েরা বলে এখনো ভাত হয়নি, আরেকটু পরে আসেন। আমি তাদের ভাতের আশা আর করি না। আমি মরলে আপনারা আমাকে মাটি দেবেন, তাহলেই হবে। আমি যে জায়গায় থাকি, ইচ্ছে করলে ছেলেরা বৌদের না জানিয়ে আমাকে কিছু খরচাপাতি দিতে পারে। কিন্তু দেওয়ার নিয়ত না থাকলে কেমনে দেবে। আপনাকে কী বলব বাবা, এরা আমাকে ঈদের মধ্যে একটা লুঙ্গিও দেয় না।’

বেগম মিয়ার বাড়িতে যাওয়ার সময় দৈনিক দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি কামাল মণ্ডল, দৈনিক মানবজমিনের প্রতিনিধি মামুন কৌশিক, আসমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম খান চন্দু ও পরিষদের মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আ.লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না : ইশরাক

নিরাপদ অভিবাসন ও ন্যায্য নিয়োগের জন্য ‘ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্ম’ উদ্বোধন

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ 

ন্যায়ভিত্তিক ও নারীবান্ধব সমাজ গঠনে সবাইকে কাজ করতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

বাংলায় জন্ম, তবু শুদ্ধ উচ্চারণে ব্যর্থ কেন

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

নির্বাচন বিলম্ব করতে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে : আমীর খসরু

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ভারতের স্কোয়াড নিয়ে মিলল আভাস

সময় না থাকলেও পুরুষদের জন্য কেন ব্যায়াম করা জরুরি

১০

ভারতের বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের নতুন ছবি-ভিডিও প্রকাশ, জানা গেল কারণ

১১

যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে বিপুল জাটকা জব্দ

১২

ডিবি হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু, পুলিশের দাবি ‘শ্বাসকষ্ট’

১৩

পিরিয়ডে পেটব্যথা, কমবে ভেষজ চায়ে

১৪

জামায়াত ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছুই করেনি : মির্জা ফখরুল

১৫

সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত: ইসি সানাউল্লাহ

১৬

সাকিবকে পেছনে ফেলে ইতিহাস গড়লেন তাইজুল

১৭

কারিশমার সাবেক স্বামীর সম্পত্তি নিয়ে নতুন বিতর্ক

১৮

ফের ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল বাইপাইল

১৯

ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের, জিততে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে হবে আয়ারল্যান্ডকে

২০
X