সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের পল্লীতে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও তার কন্যা ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দু'জনে সাফল্যর সঙ্গে পাস করেছে।
পিতা ও কন্যা এক সঙ্গে এসএসসি পাস করায় পরিবারসহ এলাকাবাসীর মধ্যে মিষ্টি বিতরণও করতে দেখা যায়। প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকলে লেখাপড়ার যে কোন বয়স বাধা মানে না তার আরও একটি উদাহরণ সৃষ্টি হলো বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।
খাজরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দূর্গাপুর গ্রামের মৃত করিম বক্স গাজীর পুত্র আনারুল ইসলাম গাজী (৪৫) পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ থাকা সত্বেও পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে লেখাপড়া থেমে যায়। পরবর্তীতে ব্যবসার পাশাপাশি আবারও লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে আনারুল ইসলাম গাজী পাইকগাছা ভিলেজ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২১তম ব্যাচে ভর্তি হয় এবং ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩.৮৬ পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। ৪৫ বছর বয়সে আনারুল ইসলাম গাজীর আরও একটি অর্জন হলো একই সঙ্গে তার কন্যা শায়লা আক্তার ময়না এবার ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খাজরা হতে বিজ্ঞান বিভাগে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এ বিষয়ে আনারুল ইসলাম গাজী বলেন, লেখাপড়ার প্রতি আমার আগ্রহ ছিল। জ্ঞান অর্জনের জন্য আমি এখনও লেখাপড়া করতে চাই। সার্টিফিকেট আমার কাছে মূল বিষয় না। পরবর্তীতে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমি অবশ্যই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হব এবং ব্যাবসার পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যাব।
মন্তব্য করুন