কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি

ঘনকুয়াশায় ঢেকে গেছে কুড়িগ্রাম। ছবি : কালবেলা
ঘনকুয়াশায় ঢেকে গেছে কুড়িগ্রাম। ছবি : কালবেলা

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জেলার নদী-তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ। সকাল থেকে সূর্যের দেখা না পাওয়া আর বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ার কারণে এ জেলায় সব থেকে বেশি কষ্টে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষজন।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।

হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। জেলার চিলমারী নৌবন্দর ও যাত্রাপুর নৌঘাটে সকাল ৮টার নৌকাগুলো দুপুর ১২টার আগে ছাড়বে না বলে জানিয়েছে নৌ-মালিকরা।

কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসলেও সরকারিভাবে এসব কম্বল বিতরণ না করা আর বরাদ্দ কম থাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ লক্ষ করা যায়।

গরম পোশাক কেনা ও কম্বল বিতরণের বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি অনেকেই এড়িয়ে যান। কেউ কেউ বরাদ্দকৃত কম্বল বিতরণের কথা বললেও মাঠপর্যায়ে বিষয়টি একেবারে উলটো।

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের দিনমজুর হুজুর আলী বলেন, আমি গরিব মানুষ, গরম কাপড় কোথায় পাব। রাত থেকে বৃষ্টির মতো শীত পড়ে। শরীরে লুঙ্গি পেঁচিয়ে কাজে যাচ্ছি।

পাঁচগাছি ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক ভানু বেগমে জানান, আমার ঘর নাই। ঠান্ডায় খুব কষ্টে রাত কাটছে। আমাকে একটি কম্বল দিলে আল্লাহ তোমার ভালো করবে। পরার মতো গরম কাপড় নেই।

রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামসুদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় ২০০ কম্বল বরাদ্দ হয়েছে। এক সপ্তাহ পরে আনা হবে।

রাজীবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, ২০০ কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। তবে এখনো উপজেলায় আনা হয়নি।

উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান ব‌লেন, এখনো সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায়‌নি। ত‌বে পাওয়া যা‌বে। পাওয়ামাত্র বিতরণ করা হবে।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম ফেরদৌস বলেন, আমার উপজেলার জন্য ২০০ কম্বল পেয়েছি। এগুলো বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমালয়ের হিম বাতাস বইতে থাকায় ঠান্ডা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। এর ফলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, শীতের জন্য নতুন করে ১ লাখ ১৫ হাজার কম্বলের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। সাধারণত ৬৫ থেকে ৭০ হাজার বরাদ্দ থাকে প্রতি বছর। চলতি শীত মৌসুমে ৯ উপজেলার জন্য ১৮০০ কম্বল ও গরম পোশাক কেনার জন্য ২৭ লাখ টাকা বণ্টন করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাখি আর মানুষের এক অসম প্রেমের গল্প

ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য বন্ধের আহ্বান ইউরোপিয়ান কমিশনের 

মেঘনা ব্যাংকে চাকরি, আবেদন করুন আজই

মোদি-পুতিন ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক চাচ্ছে ইইউ

বিতর্কিত শিল্পপতি রিপন মুন্সি অবশেষে কারাগারে

জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই : তারেক রহমান

ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুললেন সেই অভিনেতা

জয়পুরহাটে ছাত্রদলের সাত নেতা বহিষ্কার

ভারতীয় সিনেমায় হাসিনার চরিত্র, ট্রেলারে উঠে এলো ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক

নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদাকে সাতক্ষীরায় সংবর্ধনা

১০

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম, আজ ভরিতে কত?

১১

পাচারের সময় ৭২ বস্তা সরকারি চালসহ মাঝি আটক

১২

চোখ দেখেই বোঝা যাবে শরীরে কী রোগ হয়েছে

১৩

কেরালায় মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা সংক্রমণে ১৯ জনের মৃত্যু, বাঁচার উপায় কী

১৪

গাজায় চালু থাকা কয়েকটি হাসপাতালের কাছে হামলা, নিহত ১৯

১৫

আজ রাজধানীতে বিক্ষোভে নামছে জামায়াতসহ ৭ দল, জেনে নিন সময়-স্থান

১৬

‘টুপি পরার অপরাধে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হতো’

১৭

লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে বাংলাদেশি প্রতিনিধি

১৮

যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১৯

নরসিংদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

২০
X