গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ন্যূনতম একটি বেতনের নিশ্চয়তা না থাকলে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে না। তাদের আর্থিক সংকট নিরসন না করে যারা গণমাধ্যম পরিচালনা করে তারা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছেন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভাগের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ শিল্পে সংকটের যে সামগ্রিক চিত্র সেটা খুবই হতাশাজনক উল্লেখ করে সাংবাদিক কামাল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ পাঠক-দর্শক-শ্রোতার গণমাধ্যমের প্রতি আস্থার ঘাটতির কারণ খুঁজে বের করা হবে। সে জনমত সমীক্ষার ভিত্তিতেই গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংস্কারের নীতিমালা প্রস্তুত করবে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে অংশীজনের মতামত সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংবাদকর্মীদের বেতন-ভাতাদি নিশ্চিত করা এবং সাংবাদিকতার নীতিমালা বাস্তবায়ন করা গেলে দুর্নীতি কমে যাবে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।
তিনি আরও বলেন, পত্রিকায় সরকারি বিজ্ঞাপন, প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ ও আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা সংক্রান্ত যেসব জালিয়াতি আছে, সেগুলো বন্ধের পথ খুঁজে বের করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন সংক্রান্ত যে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে সে বিষয়েও সংস্কার কমিশন সুপারিশ করবে।
সাংবাদিক প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করার জন্য এ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। গণমাধ্যমগুলো যাতে যথাযথভাবে তাদের ভূমিকা পালনে সক্ষম হয়, কমিশন সে উপযোগী নীতিমালা প্রণয়নে সুপারিশ করবে। কমিশন সংস্কার বিষয়ে যেসব সুপারিশ করবে সেগুলো বাস্তবায়নে নির্বাচিত সরকারের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান সাংবাদিক কামাল আহমেদ।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- কমিশনের সদস্য শামসুল হক জাহিদ, বেগম কামরুন্নেসা হাসান এবং আবদুল্লাহ আল মামুন। সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার শতাধিক গণমাধ্যমকর্মী এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থেকে তাদের সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন