চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৫, ১১:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দলীয় নেতাকে খুনের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির তিন নেতা বহিষ্কার

বাঁ থেকে তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন (টোটন)। ছবি : কালবেলা
বাঁ থেকে তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন (টোটন)। ছবি : কালবেলা

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (মল্লিক) খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (০৯ মার্চ) রাতে দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলীর যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃত তিন নেতা হলেন তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন (টোটন) ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক।

বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম টোটন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকের নাম উল্লেখ করে জানানো হয় যে, তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র ও আদর্শবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে এবং দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) গঠনতন্ত্রের আলোকে এবং দলের স্বার্থ রক্ষার্থে জেলা বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের পদ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি ও দল থেকে বহিষ্কার করা হলো।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, তিতুদহে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খুনের পরিপ্রেক্ষিতে এ তিন নেতার নাম প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের নেতাদের সম্মতিক্রমে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও যাদের নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তাদের বিষয়েও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে টিসিবি ও ভিজিএফের চালের কার্ড নিয়ে বিরোধের জেরে রফিকুল ইসলাম রফিকের সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম টোটনের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। শনিবার (০৮ মার্চ) সকালে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে রফিককে ডেকে নেন তারা। এরপর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাসহ তাদের সহযোগীরা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে রফিককে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাহিদা খাতুন মুক্তি বাদী হয়ে দর্শনা থানায় তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম টোটনসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাল্টে গেল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সূচি

নুরকে তারেক রহমানের ফোন 

মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই যুবকের

জেলেদের সাগরে ফেলে মাছ নিয়ে গেল জলদস্যুরা

কোনো রাজনৈতিক দল চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে পারে না : জিলানী

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো নিয়ে নতুন তথ্য

কেওক্রাডং খুলে দেওয়ার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ দল নিয়ে বুলবুলকে গম্ভীরের বিশেষ পরামর্শ

আগুনে পুড়ে ছাই বসতঘর, মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে নিঃস্ব শ্যামল

দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী

১০

দুবাইয়ের কথা বলে দেশ ছেড়েছিলেন পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত তরুণ

১১

আবারও ১২ দিনের কর্মসূচিতে যাচ্ছে ৫টি দল

১২

ইসরায়েলের শীর্ষ গোয়েন্দাকে ফাঁসি দিল ইরান

১৩

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ইংলিশ অলরাউন্ডার

১৪

চীনের বিশেষ ভিসা চালু, যারা আবেদন করতে পারবেন

১৫

বিশ্ব নদী দিবস  / রাজশাহীতে নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

১৬

চট্টগ্রামে যানজট নিরসনে মনোরেল প্রকল্পের ফিল্ড সার্ভে শুরু

১৭

‘ইতিহাসে আপনি যুগের পর যুগ কলঙ্কিত অধ‍্যায় হয়ে থাকবেন’

১৮

এইচএসসির ফল প্রকাশের সময় জানাল বোর্ড

১৯

মাঠ থেকে এবার বোর্ডরুমে এশিয়া কাপের নাটক

২০
X