বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মেয়র পদ নিয়ে ফয়জুল করীমের মামলা খারিজ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীম। ছবি : সংগৃহীত
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীম। ছবি : সংগৃহীত

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র ঘোষণার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (০৫ মে) দুপুরে পূর্ব নির্ধারিত দিনে আদালতে শুনানিতে অংশ নেন ফয়জুল করীমের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে বরিশাল সিটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র সহকারী জজ হাসিবুল হাসান আবেদনটি খারিজের আদেশ দেন।

ফয়জুল করীমের পক্ষে মামলায় অংশ নেওয়া আইনজীবী শেখ নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আপিল ট্রাইব্যুনালে যাব।’

নির্বাচনের প্রায় ২২ মাস পর সৈয়দ ফয়জুল করীমের পক্ষে গত ১৭ এপ্রিল আদালতে আবেদনটি দাখিল করেছিলেন তার আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির। শুনানির সময় সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক আবেদনটি পরবর্তী আদেশের জন্য গত ২৪ এপ্রিল এবং পরবর্তীতে ৫ মে তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।

এদিকে দুপুরে মামলার শুনানি শেষে আদালত বলেন, ঘটনাটি দীর্ঘদিন আগের হওয়ায় মামলাটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে বিবেচিত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য প্রক্রিয়াগত বিষয় উল্লেখ করে মামলার আবেদনটি খারিজ করা হলো।

ফয়জুল করীমের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেওয়া অন্য আইনজীবীরা হলেন- শেখ নাসির উদ্দিন, জিএম নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হানিফ মিয়া ও জামাল উদ্দিন।

মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ২০২৩ সালের ১২ জুন বিসিসি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে এক নম্বর প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ভোট গ্রহণকালে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলা চালান আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হয়েছিলেন। একইসঙ্গে নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের জাগুয়া কলেজ কেন্দ্র থেকে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীর এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড চালিয়ে দরখাস্তকারীকে (ফয়জুল করীম) প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে কম দেখিয়ে (৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট) পরাজিত দেখানো হয়। এক নম্বর প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহকে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।

আবেদনে নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করার আদেশ প্রদানের জন্য আবেদন করা হয়েছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪৩ দিন পর নগর ভবনে ফিরলেন ডিএসসিসি প্রশাসক

এক কাতলের দাম ৩৯ হাজার টাকা

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি এখন কোথায়?

এনবিআর অবরুদ্ধ / আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গেটে অবস্থান

অনলাইনে ফ্রিতে লোগো বানানোর জন্য ৭টি জনপ্রিয় এআই টুল

বাংলাদেশের ইলেকটোরাল ডেমোগ্রাফি : নির্বাচনী মানচিত্রের নতুন পাঠ

১৩ বছর আগে জামায়াত নেতাকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল, ওসি প্রত্যাহার

বাড়তি নিরাপত্তার জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি কিনলেন সালমান

এমএলএসে টানা দ্বিতীয় বছর সর্বোচ্চ আয় মেসির

শেখ মুজিবও ক্ষমতার লোভ সামলাতে পারেননি, আদালতে হাবিবুল 

১০

২০০ কুকুর নিয়ে ব্যতিক্রমী বিয়ে

১১

বিএনপির সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক 

১২

মাদকমুক্ত সমাজ না হলে জাতি অন্ধকারে যাবে : ব্যারিস্টার অসীম

১৩

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

১৪

চোখ ধাঁধানো লুকে কিয়ারা

১৫

সাবেক সিইসি হাবিবুল ৩ দিনের রিমান্ডে

১৬

অন্যায় তদবিরে না বললেই আমি ভারতের দালাল : আসিফ নজরুল 

১৭

জুলাই যোদ্ধার স্বাস্থ্য কার্ড পেলেন যুবলীগ নেতা

১৮

পাকিস্তানে ‘র’-এর ৬ এজেন্টকে গ্রেপ্তারের দাবি

১৯

ইসরায়েলি হামলায় পরমাণুবিজ্ঞানীসহ একই পরিবারে নিহত ১২

২০
X