রাজশাহী কলেজে পরীক্ষার ভাইভা দিতে আসা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী মো. মাজহারুল ইসলাম আশিককে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৬ মে) দুপুর ২টার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে আটকের পর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আটক মো. মাজহারুল ইসলাম আশিক রাজশাহী কলেজের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর থানার ক্ষুদ্রকমরপুর গ্রামে। তিনি রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে তিনি কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। পটপরিবর্তনের পর তিনি গা ঢাকা দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইতিহাস বিভাগে পরীক্ষার ভাইভা দিতে মঙ্গলবার সকালে কলেজে আসেন মাজহারুল ইসলাম আশিক। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পাশাপাশি ছাত্রদলের কাছে থাকা পূর্বের ছাত্রলীগের কর্মীদের কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কার্যক্রমের ছবিতে চেক করা হয়।
ছবিগুলোতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। ছাত্রলীগের মিছিলগুলোতে তাকে সামনের সাড়িতে অবস্থান করতে দেখা যায়। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে রাজশাহী কলেজে ১৬ জুলাই শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার দিনেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। পরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ (আবির) বলেন, রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী এবং রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হত্যা মামলার আসামি রাশিক দত্তের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আশিক কলেজে ভাইভা দেওয়ার জন্য আসে। পরে কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
কলেজ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, যারা জুলাই আন্দোলনে হামলাকারী তাদের বিরুদ্ধে যেন কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়াও যারা মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে তাদের ছাত্রত্ব যেন বাতিল করা হয়।
আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, নতুন করে ওই ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি। তবে তার বিরুদ্ধে পূর্বের একটি মামলা চলমান রয়েছে। সেই মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন