

ইয়েমেনে উত্তেজনা বাড়ানো বা সৌদি আরবের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইউএই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইয়েমেনের পূর্বাঞ্চলীয় হাদরামাউত ও আল-মাহরা প্রদেশে তাদের কার্যক্রমের লক্ষ্য হলো উত্তেজনা প্রশমন, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। এসব কার্যক্রম সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করেই পরিচালিত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মুকাল্লা বন্দরের মাধ্যমে অস্ত্র পাঠানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্য নয়। বন্দরে নামানো যানবাহনগুলো শুধু ইউএই বাহিনীর ছিল এবং বিষয়টি আগেই সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল।
ইউএই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু সাম্প্রতিক পদক্ষেপ নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। তারা আলকায়দা, হুথি (আনসারুল্লাহ) আন্দোলন এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে আসা হুমকির কথাও উল্লেখ করে।
এর আগে মঙ্গলবারই ইয়েমেনের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিল ইউএইয়ের সঙ্গে করা যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশটি থেকে আমিরাতি বাহিনী প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এসটিসি) মোতায়েন এবং মুকাল্লা বন্দরের মাধ্যমে অনুমোদনহীন সরঞ্জাম আনার অভিযোগকে কেন্দ্র করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে সৌদি আরব জানিয়েছে, মুকাল্লা বন্দরে অনুমোদনহীন সহায়তা ঠেকাতে তারা জোটের একটি অভিযান চালিয়েছে। তবে ওই অভিযানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে সৌদি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
মন্তব্য করুন