

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এই উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ২৭ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিজিবির সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক খুদেবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বুধবার রাত থেকেই এভারকেয়ার হাসপাতাল, জাতীয় সংসদ ভবন ও জিয়া উদ্যান এলাকায় বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া পুরো এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত থেকেই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল, জাতীয় সংসদ ভবন ও জিয়া উদ্যান এলাকায় বিজিবি সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
অন্যদিকে বুধবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মরদেহ নেওয়া হয়। সকাল সোয়া ৯টার পর লাল-সবুজ পতাকায় মোড়ানো মরদেহবাহী গাড়িটি গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসায় পৌঁছায়।
খালেদা জিয়ার স্বজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর জানাজার জন্য তার মরদেহ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নেওয়া হবে। বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বুধবার বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা পড়াবেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। জানাজা আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে বেগম খালেদা জিয়াকে তার স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
এদিকে জানাজায় অংশ নিতে মঙ্গলবার রাত থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। শেষবারের মতো খালেদা জিয়াকে একনজর দেখার আশায় তারা গণপরিবহন, ট্রেন, লঞ্চ ও ব্যক্তিগত যানবাহনে করে রাজধানীতে আসছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া মারা যান। তার মৃত্যুতে বুধবার থেকে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ ও ২ জানুয়ারি) পর্যন্ত তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। এ ছাড়া বুধবার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন