চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ মে) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের রাস্তার মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. রিয়াদ উপজেলার সীমান্তবর্তী ছয়ঘড়িয়া গ্রামের জিয়ারুলের ছেলে ও দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুখিনা (৫০) ও সুমাইয়া নামের দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার সুখিনা ছয়ঘড়িয়া গ্রামের বাইতুল্লার স্ত্রী ও সুমাইয়া মূল অভিযুক্ত হযরত আলীর স্ত্রী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর ২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী ছয়ঘরিয়া গ্রামে জিয়ারুলের স্ত্রী শিল্পী খাতুন (৩৮) তার বাড়ির সঙ্গে রাস্তার পাশে গরুর গোবরের পাটকাঠি করে ঘুঁটে দিচ্ছিল। এ সময় পাশের বাড়ির বাইতুল্লার স্ত্রী সুখিনা খাতুনের (৫০) সঙ্গে ঘুঁটে দেওয়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে বাইতুল্লার ছেলে হযরত আলী (৪০) ও রিয়াদ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হযরত আলী তার বাড়ি থেকে একটি ধারালো হাঁসুয়া নিয়ে রিয়াদের গলায় কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার গোলাম মাওলা, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক, চুয়াডাঙ্গা সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-দর্শনা-জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শহিদ তিতুমীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত হযরত আলীর মা সুখিনা খাতুন ও স্ত্রী সুমাইয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, হযরত আলী এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারি ও চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রিয়াদকে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হযরত।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শহিদ তিতুমীর বলেন, সোমবার দুপুরে ছয়ঘরিয়া গ্রামে গরুর গোবরের পাটকাঠি করে ঘুঁটে দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে শিশু রিয়াদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বিকাল ৫টার দিকে তার লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার গোলাম মাওলা বলেন, শিশু রিয়াদ হত্যার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত হযরত আলীকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন