নেত্রকোনার পূর্বধলায় আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়া দাদি ফাতেমা বেগম (৬৫) ও নাতনি লিজা আক্তারের (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) পুলিশ উপজেলার শিমুলকান্দি এলাকার মগড়া নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
পুলিশের ধারণা, হেঁটে নদী পাড় হতে গিয়ে তাদের দুজনের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ফাতেমা বেগম খলিশাউড় ইউনিয়নের শিমুলকান্দি বহেরাকান্দা গ্রামের মৃত রমেশ আলীর স্ত্রী। আর লিজার বাবার নাম লিটন মিয়া।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা- পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফাতেমা বেগম তার ছেলের নাতনিকে নিয়ে মেয়ে দেলোয়ারা বেগমের শ্বশুরবাড়ি উপজেলার নারায়ণডহর গ্রামের উদ্দেশে হেঁটে রওনা হন। তাদের বাড়ি থেকে গন্তব্যস্থলের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও তারা গন্তব্যে না পৌঁছানোয় রাত ৯টার দিকে দেলোয়ারা তার ভাই লিটন মিয়াকে ফোনে বিষয়টি জানান।
পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বুধবার ভোরে শিমুলকান্দি এলাকায় মগড়া নদীতে ফাতেমা বেগমের মৃতদেহ পানিতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কিন্তু লিজার সন্ধান না পেয়ে নদীতে জাল ফেলে তল্লাশি চালানো হয়। একপর্যায়ে লিজার মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়। দাদি-নাতনির এক সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছাড়া নেমে এসেছে।
শিমুলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা নুর মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। দাদি-নাতনির এক সঙ্গে পানিতে ডুবে মারা যাওয়ায় পরিবারটিতে বিষাদ নেমে এসেছে।’
এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহের সুরতহাল করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নদী পার হওয়ার সময় কোনভাবে ভারসাম্য হারিয়ে পানিতে পড়ে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।’
মন্তব্য করুন