ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সিংগারবিল ইউনিয়নের নলগড়িয়া ও নোয়াবাদী সীমান্ত এলাকায় পুশইনের শঙ্কায় কঠোর অবস্থানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তারা সীমান্তে টহল জোরদার করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক পুশইন করা হচ্ছে এমন খবরে এলাকায় স্থানীয় মসজিদে রাতে মাইকিং করা হয়। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, ভারতীয় নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজয়নগর উপজেলার সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত এলাকাগুলোতে নিরবচ্ছিন্নভাবে টহল দেওয়া হচ্ছে, বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো অবস্থাতেই বাসিন্দাদের সীমান্তের দেড়শ গজের মধ্যে চলাফেরা না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে সরেজমিন উপজেলার নলগড়িয়া ও নোয়াবাদী সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিজিবির সদস্যরা সীমান্তে টহল দিচ্ছেন। অবৈধভাবে যেন কোনো ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছেন সীমান্তে।
এ ছাড়া বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলোতে ঘুরে স্থানীয়দের সচেতন করছেন বিজিবি সদস্যরা।
জানা গেছে, আগরতলা বিমানবন্দরের পাশে গেটের কাছে প্রায় ১৫০ ভারতীয় নাগরিককে জড়ো করা হয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তিনগুণ বেশি সতর্কতা নিয়ে সীমান্তে সারারাত টহল জোরদার করা হয়।
স্থানীয় আনিস মিয়া, ফজলুল হকসহ একাধিক স্থানীয়রা জানান, বিজিবির টহল তৎপরতা বেড়ে গেলে সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় কয়েকটি মসজিদ থেকে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে। ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘটনাস্থলের ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে, যা আরও আতঙ্ক বাড়িয়ে দেয়।
২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহমেদ বলেন, বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে আমরা সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছি। ভারতীয় নাগরিকদের পুশইনের আশঙ্কায় আগাম প্রস্তুতি নিয়ে ওই এলাকায় টহল জোরদার করা হয়। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো অনুপ্রবেশ ঘটেনি।
মন্তব্য করুন