চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে শীর্ষ সন্ত্রাসী আলী আকবর প্রকাশ ঢাকাইয়া আকবর এবং একজন দর্শনার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত অপরজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানিতে চাকরি করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আকবর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার মঞ্জু মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলা রয়েছে। ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত আকবর ও সরোয়ার।
একাধিক সূত্র জানায়, কারাগারে আটক ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারী ও তার স্ত্রী তামান্না শারমিনকে নিয়ে কটূক্তি করে নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রায়ই ভিডিও দিতেন আকবর। পাশাপাশি সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্নাও আকবরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে নানা ভিডিও দিতেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করা না হলেও হাসপাতালে আসা আকবরের স্বজনদের দাবি, এ ঘটনায় কারাগারে বন্দী ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারীরা জড়িত।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় রাত আটটার দিকে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন আকবর। ওই সময় হঠাৎ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল এসে ঢাকাইয়া আকবরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে । গুলিতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অস্ত্রধারীরা চলে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ আকবরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ছুটির দিন হওয়ায় সৈকতে লোকজনের ভিড় ছিল বেশি। হঠাৎ গুলির শব্দে সৈকতে বেড়াতে আসা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বেড়াতে আসা লোকজনের অভিযোগ, পুলিশি টহল জোরদার না থাকায় প্রকাশ্যে এই গুলির ঘটনা ঘটেছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মাহমুদা বেগম রাতে বলেন, পতেঙ্গা সৈকতে একজনকে গুলি করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় কারা জড়িত, পুলিশ তদন্ত করছে।
নগর পুলিশের বন্দর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সোহেল পারভেজ বলেন, ‘সন্ধ্যার পর হঠাৎ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আকবর নামে এক যুবক এবং একজন দর্শনার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আকবরের শরীরে ৩-৪টি গুলি লেগেছে। তাদের তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারী কারা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কাজ চলমান।’
মন্তব্য করুন