সোহাগ ভূঁইয়া (৩৫) নামে এক কারাবন্দি মারা গেছেন। বুধবার (২১ মে) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শায়েস্তানগর গ্রামের মৃত সামছুল হক ভূঁইয়ার ছেলে।
দাউদকান্দি থানার একটি হত্যা মামলায় সোহাগ গাজীপুরের কাসিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন। শুক্রবার (২৩ মে) জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। তবে অভিযোগ নাকচ করেছে পুলিশ।
সোহাগের বড় ভাই টিপু ভূঁইয়া বলেন, আমার ভাই বিদেশে লেখাপড়া করেছে, কখনোই কোনো রাজনীতিতে জড়িত ছিল না। এমনকি তার নামে কোনো মামলাও ছিল না। ২৬ এপ্রিল রাতে দাউদকান্দি থানার এসআই আবু বকর আমার ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। ২৭ এপ্রিল একটি হত্যা মামলায় কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করেন। পরদিনই অসুস্থ অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। তখন তাকে কাসিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
ওইসময় সোহাগ আমাকে বলে, ভাই পুলিশ আমাকে ধরে গাড়িতে তুলেই অনেক মেরেছে, আমি হাঁটতে বা দাঁড়াতে পারি না। ১৪ মে ঢাকা মেডিকেল থেকে কাসিমপুর কারাগারে নিয়ে যায়। বুধবার সকালে কারা কর্তৃপক্ষ ফোন করে আমাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে যাওয়ার জন্য বলে। কারাবিধি অনুযায়ী ও ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বুঝে পেয়ে শুক্রবার জানাজা ও দাফন করি।
দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, থানায় কোনো আসামিকেই কখনো মারধর বা নির্যাতন করা হয় না। সোহাগ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত রিফাত হত্যা মামলায় সংযুক্তি দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ও কাসিমপুর কারাগারের জেলারের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন