নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ৩৯ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় একজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ৩০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ রয়েছেন আটজন।
শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৩টার দিকে ভাসানচর থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশে যাওয়ার পথে ট্রলারটি ডুবে যায়।
জানা গেছে, দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে চারজন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার লোকসহ ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করে। যাত্রাপথে ভাসানচর থেকে ৭/৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রলারটিতে ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। ঝোড়ো আবহাওয়া ও নদীতে উঁচু ঢেউয়ের কারণে ডুবোচরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে যায়। হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের স্থানীয় ৩টি বোটের সহায়তায় ২০ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও ১৯ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় জেলেরা দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।
হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ৩০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও উদ্ধারের পর একজন মারা যান। এক পুলিশ সদস্যসহ এখনো আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। কোস্টগার্ড বর্তমানে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
মন্তব্য করুন