কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতেই পানির নিচে খুলনার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা

খুলনায় জলাবদ্ধতার একটি চিত্র। ছবি : কালবেলা
খুলনায় জলাবদ্ধতার একটি চিত্র। ছবি : কালবেলা

বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে খুলনা নগরীর অধিকাংশ সড়ক। বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর ও সড়কের পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষ। মাত্র দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতেই পানির নিচে খুলনার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) বৃষ্টিতে অধিকাংশ সড়কে হাঁটুপানি জমেছে। সড়কগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোথাও কোথাও সড়কে যানবাহন আটকা পড়েছে। ফলে যানজটে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। রাতের সামান্য বৃষ্টিতে নগরীর একাদিক গুরুত্বপূর্ন সড়ক তলিয়ে যাওয়াই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।

নগরীর এ দুর্বিষহ অবস্থার জন্য সিটি করপোরেশনের দূরদর্শিতার অভাব, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, খাল-বিল দখল আর সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবকে দায়ী করছেন নগরবাসী।

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এলাকার মধ্যে মোট সড়ক আছে ১ হাজার ২১৫টি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর রাতের বৃষ্টিতে নগরীর টুটপাড়া, রয়েল মোড়, সাত রাস্তা মোড়, মিস্ত্রিপাড়া, খালিশপুর, নিউ মার্কেট এলাকা, শান্তিধাম মোড়, বসুপাড়া, ফুলবাড়িগেট, আলমনগর, মুজগুন্নি আবাসিক এলাকা, কুয়েট রোড, দৌলতপুরের একাধিক এলাকাসহ বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে কর্মজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

নগরবাসী বলছেন, শুধু ড্রেন নির্মাণ করলেই হবে না নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। বর্জ্য পড়ে অধিকাংশ নতুন ড্রেন ভরাট হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কেসিসির নজরদারি কম। সঠিকভাবে তদারকির অভাবে বিপুল অর্থ ব্যয় কাজে আসছে না।

নগরীর টুটপাড়ার বাসিন্দা ফাতিন আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এই রোডে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে। সম্প্রতি সড়কের দুই পাশে নতুন ড্রেন নির্মাণ করা হয়।এরপরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।’

ফাতিন আরও বলেন, ‘এ এলাকার বাড়ির ভেতরের পানি কোনোভাবেই সড়কের ড্রেনে আসে না। সিটি করপোরেশন যে ড্রেন বানিয়েছে বাড়ি থেকে উঁচুতে। এতে বাড়ির ভেতর জমে থাকা পানি কোনোভাবেই সেখানে যায় না।’

ছোট মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা মিথিলা মজুমদার বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে গরম কিছুটা কমলেও বাসার আশপাশ দিয়ে পানি জমে গেছে, যে কারণে চলাচল করতে খুবই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি এই সড়কগুলো দিয়ে গাড়িও চলাচল করছে না।’

খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ১২টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটা এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টি। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লবণ নাকি চিনি ,কোনটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে?

হল ত্যাগের নির্দেশ, ঢাবিশিক্ষার্থীদের প্রতি তাসনিম জুমার যে অনুরোধ

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান ইডেন শিক্ষার্থীদের

৭ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় সংঘর্ষ, আহত অনেক

ক্যাম্প ন্যুতে বার্সার রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

জনগণকে নিয়ে এলাকার কল্যাণে কাজ করব : রবিন 

দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে ৭৬ ক্লাবকে নিয়ে কোয়াবের চা-চক্রের আয়োজন

ভূমিকম্প আতঙ্কে ঢাবি ভিসির বাসভবনের সামনে শুয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা

এবার নিজেদের মাঠে নাস্তানাবুদ লিভারপুল

১০

ভূমিকম্পে নিহতদের সম্পর্কে যা বলেছেন নবীজি (সা.)

১১

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোরআন বিতরণ 

১২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ দিন বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ

১৩

সিমেন্ট কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ, ৬ শ্রমিক দগ্ধ

১৪

বাংলাদেশ সমাজকর্ম শিক্ষক সমিতির আত্মপ্রকাশ 

১৫

জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও ইউনিভার্সেল মেডিকেলের স্বাস্থ্য চুক্তি

১৬

ভূমিকম্পে নিহত রাফিকে শেষ দেখা দেখলেন মুর্মূষু মা

১৭

নরসিংদীতে ফের ভূমিকম্প, বাড়ছে আতঙ্ক

১৮

বাংলাদেশ গড়তে তারেক রহমানের বিকল্প নেই : দুলু

১৯

এক যুগ আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা, ৩২ ভবনে এখনো মানুষের বাস

২০
X