রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২
মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
আপডেট : ২০ জুন ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিশুরা খেলবে কোথায়

নবাবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা
নবাবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই খেলার মাঠ। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে অন্তত ৬০টির মাঠ নেই বা একেবারেই অপ্রতুল।

জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত। পর্যাপ্ত সরকারি জমি না থাকায় ও দীর্ঘদিন পরিকল্পনাহীনভাবে বিদ্যালয় স্থাপনের কারণে মাঠ সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের জায়গা এক প্রভাবশালী দখল করে রেখেছে। যে কারণে আমরা বাচ্চাদের খেলাধুলার মাঠ তৈরি করে দিতে পারিনি।

নবাবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা পারভীন নিপু জানান, আমাদের বিদ্যালয়টি রাস্তার পাশে হওয়ায় খেলার মাঠ নেই। মাঠ না থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্লাসের পরও ঠিকভাবে সময় কাটাতে পারে না।

ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শামিম আহম্মেদ জয় বলেন, মাঠ না থাকায় ছেলে বাসায় বসেই মোবাইল ঘাঁটে। আগে আমরা মাঠে খেলতাম। এখনকার বাচ্চারা যেন বন্দি জীবন কাটাচ্ছে। খেলাধুলার অভাবে তারা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে।

শিক্ষা ও শিশু বিকাশ নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলার মাঠ না থাকলে শিশুদের মধ্যে স্থূলতা, বিষণ্নতা ও আচরণগত সমস্যা বেড়ে যায়। ফলে এটি দীর্ঘমেয়াদে জাতির ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম সরকার বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ইউনিয়ন পরিষদের খালি জমিগুলো শিশুদের খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত করতে। পাশাপাশি এলাকাবাসীকেও আহ্বান জানাচ্ছি বিদ্যালয়গুলোর পাশে জায়গা থাকলে তা ব্যবহারে সহযোগিতা করতে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, উপজেলার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যালয়ে খেলাধুলার জন্য নির্ধারিত জায়গা নেই। আমরা এরই মধ্যে মাঠবিহীন বিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি করেছি। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় বিকল্প জায়গা নির্ধারণের কাজ চলছে। কয়েকটি এলাকায় মাঠ উন্নয়নের প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। আশা করি ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, শিশুদের সুস্থ বিকাশে খেলার মাঠ অপরিহার্য। আমরা ইউনিয়নভিত্তিক সরকারি খালি জায়গাগুলো চিহ্নিত করছি, যাতে অন্তত বিদ্যালয়গুলো সাময়িকভাবে সেগুলো ব্যবহার করতে পারে। নতুন কোনো বিদ্যালয় স্থাপন বা উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার সময় অবশ্যই মাঠের বিষয়টি বাধ্যতামূলকভাবে বিবেচনায় আনা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষিত: জোনায়েদ সাকি

সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে ফিরছেন ফোনলাপ ফাঁস হওয়া সেই এনসিপি নেতা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার 

সাংবাদিকের বাড়িতে চুরি, স্বর্ণালংকারসহ ৫ লাখ টাকার ক্ষতি

৪৫ বছর ভাত না খেয়েও সুস্থ ও সবল বিপ্লব

চেতনানাশক খাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতি

রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা

প্রার্থিতা প্রত্যাহার নিয়ে ছাত্রদলের নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে চাকরি খোয়ালেন বেরোবি সমন্বয়ক

হাওর ও চরাঞ্চলের শিক্ষক বদলির তদবির আসে ওপর থেকে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১০

জয় স্যুটকেস ভরে টাকা নিয়ে গেছে : হাবিব-উন-নবী সোহেল

১১

২৫ বছর ধরে বাঁশির মায়ায় আটকে আছে শফিকুলের জীবন

১২

একাত্তরেও আ.লীগ পালিয়েছে, এবারও পালিয়ে গেছে : টুকু

১৩

একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু, শেষ হচ্ছে কবে

১৪

তিন দিনের মধ্যে সাদাপাথর ফেরত না দিলে ব্যবস্থা

১৫

উগান্ডার সঙ্গে ট্রাম্পের চুক্তি, জানা গেল নেপথ্য কারণ

১৬

ইসহাক দারের সঙ্গে কী আলোচনা হলো বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির

১৭

মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু রোববার : রাকসু ট্রেজারার

১৮

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৯

পাথরের জন্য মাইকিং, ডেডলাইন ২৬ আগস্ট

২০
X