কুষ্টিয়ার মিরপুরে একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৫ জুন) রাত ২টার দিকে উপজেলার কালিতলা-দুর্গাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আয়েশা খাতুন (৫০) নামে এক নারীর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা মৃতের স্বজনদের মারধরের পাশাপাশি তাদের কাছে থাকা ৩২ হাজার ৬০০ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয় ডাকাত দল। এ ছাড়া মরদেহেরও তল্লাশি চালিয়েছে ডাকাত দল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম।
মৃত আয়েশা খাতুন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের সুধিরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা নিয়ামত আলীর স্ত্রী। ডাকাতির শিকার যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম (৪২), আইলচারা গ্রামের আকছেদ মণ্ডলের ছেলে শাহবুল, শিঊলি খাতুন (৪৬) ও ফেরদৌসি (৩২)।
আয়েশার ভাই ও ভুক্তভোগী অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী রকিবুল ইসলাম বলেন, আমার বড় বোনের মরদেহ নিয়ে ফেরার পথে ডাকাত দল অ্যাম্বুলেন্সে হানা দেয়। এ সময় আমাদের কাছে থাকা ৩২ হাজার ৬০০ টাকা এবং একজোড়া কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। এমনকি মরদেহের কান ও গলাও তল্লাশি করে তারা। হাঁসুয়া (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে ভয়ভীতি ও আমাদের মারধর করে।
অ্যাম্বুলেন্সে থাকা মৃতের স্বজনরা জানান, লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি ছাতিয়ান ইউনিয়নের কালিতলা-দুর্গাপুর সড়কের মাঠ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে পথে প্রতিবন্ধকতা দেখতে পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স থামান চালক। তারপর পাশের পানের বরজ থেকে চার থেকে পাঁচজন ডাকাত দলের সদস্য বেরিয়ে আসে। ডাকাতরা ধারালো অস্ত্রের মুখে চালকের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাদের সঙ্গে থাকা টাকা এবং নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এমনকি মরদেহের কান ও গলায় মূল্যবান কোনো অলংকার আছে কি না, তাও তল্লাশি করে ডাকাত দল।
এ বিষয়ে মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, রাত ২টার দিকে কালিতলা-দুর্গাপুর মাঠের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানটি একেবারেই গ্রামের ভেতর। ওই সময় মাঠ সংলগ্ন প্রধান সড়কে আমাদের পুলিশ পাহারা ছিল। ঘটনা তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন