মানিকগঞ্জের শিবালয়ে গ্রামের উন্নয়ন মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি নামের একটি এনজিওর বিরুদ্ধে তিন কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এনজিওর চেয়ারম্যান জগন্নাথ চন্দ্র দাসকে (৪৫) রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন।
সোমবার (৭ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা হল রুমের সামনে ওই এনজিও চেয়ারম্যানকে বেঁধে রাখেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রায় তিন শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে লোন, সঞ্চয়পত্র ও জামানতের নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে দীর্ঘদিন ধরে তা ফেরত না দিয়ে গা-ঢাকা দেন এনজিওর মালিকরা। এমনকি মামলা হওয়ার পরও তারা জামিনে এসে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার টেপড়া এলাকায় এক যুগ আগে জগন্নাথ দাশ, আলম হোসেন, রজ্জব আলী ও মোহাম্মদ মাস্টার যৌথভাবে গ্রামের আলো ও গ্রামের উন্নয়ন মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি নামে দুটি এনজিও পরিচালনা শুরু করেন। শুরুতে লোন ও সঞ্চয়ের নামে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করলেও পরে নির্দিষ্ট সময় পার হলেও আমানত ফেরত না দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেন তারা।
ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, আমাদের মূল টাকাটাও ফেরত দেয়নি, লাভ তো অনেক দূরের কথা। কষ্ট করে জমানো টাকা দিয়ে এখন পথে বসার উপক্রম।
স্থানীয় উলাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান আনিস বলেন, আমার এলাকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এই এনজিও দুটি। প্রতিদিনই কেউ না কেউ এসে কান্নাকাটি করে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে সাধারণ মানুষ তাদের আমানত ফেরত পায়।
মন্তব্য করুন